ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বাংলাদেশের অগ্রগতি পাকিস্তান মেনে নিতে পারছে না

সিনিয়র স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৫
বাংলাদেশের অগ্রগতি পাকিস্তান মেনে নিতে পারছে না ছবি :সোহাগ / বাংলানিউজটোয়েটিফোর.কম

ঢাকা: বাংলাদেশের অগ্রগতি একাত্তরের পরাজিত শক্তি পাকিস্তান মেনে নিতে পারছে না বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে ‘আমাদের জুলিও কুরি বঙ্গবন্ধু’ নামে একটি পাক্ষিক পত্রিকার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।



ওবায়দুল কাদের বলেন, পাকিস্তান আজ বিপজ্জনক রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের যে অগ্রগতি হচ্ছে, পাকিস্তান সেটা মোটেই মেনে নিতে পাচ্ছে না। তারা দিনের পর দিন চক্রান্ত করেই যাচ্ছে।

‘পাকিস্তানকে মনে রাখতে হবে ১৯৭১ সালে তারা যুদ্ধে পরাজিত হয়েছিলো। সত্তর সালে নির্বাচনেও পারাজয় বরণ করে। ঊনসত্তরের গণঅভ্যূত্থানের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে আমরা পাকিস্তানের জেল থেকে মুক্ত করেছিলাম। ’

সেত‍ুমন্ত্রী বলেন, ‘হাইব্রিডের ধাক্কায় আওয়ামী লীগের আসল নেতা-কর্মীরা ছিটকে পড়েছেন। বঙ্গবন্ধুর নামে অসংখ্য ভুইফোঁড় সংগঠন গজিয়ে উঠেছে। তাদের ধান্ধা হলো চাঁদাবাজি। এটা দলের জন্য ভালো নয়। ’

তিনি বলেন, ‘এখন রাজনীতি করতে আর যোগ্যতা লাগে না। কিন্তু পঁচাত্তরের পর হাজার পাওয়ার বাতি জ্বেলেও আওয়ামী লীগ সমর্থকদের খুঁজে পাওয়া কষ্টের ছিল। এখন বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবির পাশে নিজেদের ছবি দিয়ে বিশাল বিশাল পোস্টার করে রাস্তার ধারে টানানো হচ্ছে। ’

রাস্তায় টানানো ব্যানার-পোস্টারের উদাহরণ দিয়ে কাদের বলেন, ‘সেই কবে জাতীয় শোকদিবসের ৪০ দিনের কর্মসূচি চলে গেছে। এখনও ঢাকা ও চট্টগ্রামের রাস্তায় ভুইফোড় সংগঠনের নামে পোস্টার চোখে পড়ে। চাকরির ভয়ে পুলিশ তা সরাতেও ভয় পায়। ’

‘এ জন্য আমাদের সচেতন হতে হবে। এ নিয়ে প্রতিবাদ জানাতে হবে,’ যোগ করেন সাবেক এই ছাত্রলীগ নেতা।

গবেষক ও কলামিস্ট মোনায়েম সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পত্রিকাটির প্রকাশক ও সম্পাদক আব্দুল আওয়াল ভূঁইয়া, সাবেক সচিব এ বি এম গোলাম মোস্তাফা, আওয়ামী লীগ নেতা এবং বাংলাদেশ শান্তি পরিষদের সভাপতি মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু, জাতিসংঘ সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. সৈয়দ মোহাম্মদ  শাহেদ, প্রকৌশলী একিউএম ইকরামউল্লাহ প্রমুখ বক্তব্য দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৫, আপডেট: ২০০৫ ঘণ্টা
এসএস/টিআই/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।