ঢাকা: কৃষিতেও যে পরিবর্তন আনা সম্ভব, কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার করা যায় এর প্রমাণ দেখিয়েছেন সদ্য প্রয়াত ড. চৌধুরী সাজ্জাদুল করিম (সিএস করিম)। তিনিই কৃষিতে নতুন দিগন্তের সূচনা করেছিলেন বলে জানান বক্তারা।
বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে ‘গ্রামীণ জীবনযাত্রার স্থায়িত্বশীল উন্নয়নের জন্য প্রচারাভিযান- সিএসআরএল’র আয়োজিত নাগরিক শোকসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
সিএসআরএলের সহসভাপতি জিয়াউল হক মুক্তার সঞ্চালনায় বক্তব্য শোকসভায় বক্তব্য রাখেন, সিএসআরএল’র সাধারণ সম্পাদক ড. শরমিন্দ নিলোর্মী, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও বীজ উইং এর প্রধান আনোয়ার ফারুক, বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, সাবেক মহাপরিচালক ড. শহীদুল ইসলাম, ঢাকা স্কুল অব ইকোনোমিকস সহযোগী অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম,বাংলাদেশ টেলিভিশনে কৃষি বিষয়ক অনুষ্ঠান মাটি ও মানুষের সঞ্চালক রেজাউল করিম সিদ্দিক, ড. সিএস করিমের ছেলে চৌধুরী সাবাব করিম এবং ড. সিএস করিমের অন্যান্য সহকর্মীবৃন্দ।
সিএসআরএল’র সাধারণ সম্পাদক ড. শরমিন্দ নিলোর্মী বলেন, ড. সিএস করিম এমন একজন ব্যক্তি ছিলেন, যিনি ব্যক্তিস্বার্থে কিছু করতেন না, প্রতিষ্ঠানকে ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার করতেন না। ড. সিএস করিমের সাথে কাজ করতে গিয়ে দেখেছি, ওনার সাথে কৃষকের সরাসরি যোগাযোগ ছিল। কৃষিতে ড. সিএস করিমের অবদানের কথা স্মরণ করতে আমরা এই নাগরিক স্মরণসভার আয়োজন করেছি।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আনোয়ার ফারুক বলেছেন, কৃষিতে পরিবর্তন আনা যে সম্ভব, ড. সিএস করিম ২০০৭ সালে কৃষি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনকালে তার প্রমাণ দেখিয়েছেন। সে সময় দুইবার বন্যা হয়েছিল, আইলা সিডর হয়েছিল, অর্থ দিয়েও প্রতিবেশী দেশ থেকে খাদ্য আমদানি করা যায়নি; তখন ড. সিএস করিম খাদ্য উৎপাদনের এরিয়া কভারেজ বাড়িয়ে খাদ্য সংকট দূর করেছিলেন। তিনি ছিলেন একজন অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় ব্যক্তি। কিন্তু ওনার মৃত্যুতে আমরা জাতীয়ভাবে ওনার শোক পালন করতে পারছি না।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ড. শহিদুল ইসলাম বলেন, ড. সি এস করিম দিনে আঠারো ঘণ্টা কাজ করতেন। উনি নিজে একটি প্রতিষ্ঠান ছিলেন। কৃষি বিভাগে ৩৫ বছর চাকুরি করার মধ্যে ড.সিএস করিমের সাথে ফাও এ ৬ বছর, দুই বছর সরকারে থাকাকালীন সময়ে কাজ করেছি। উনি কৃষির জন্য নিবেদিত প্রাণ ব্যক্তি ছিলেন।
বাংলাদেশ টেলিভিশনের মাটি ও মানুষ অনুষ্ঠানের সঞ্চালক রেজাউল করিম সিদ্দিক বলেন, কৃষি তথ্য সার্ভিস তিনিই চালু করেছিলেন। কৃষিতে যে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করা যায় সেটি ড. সিএস করিম দেখিয়েছেন। তিনি দেশকে নিয়ে ভাবতেন মগজ দিয়ে, হৃদয় দিয়ে। কৃষির কথা বলতেন হৃদয় দিয়ে। ১লা অগ্রহায়ণ উনি কৃষি দিবস ঘোষণা করে গিয়েছিলেন। এটি এখন পালিত হয় না। বাংলাদেশে কৃষককে আইসিটির মধ্যে আনার কাজটি উনিই করেছিলেন। ইউএনডিপির মাধ্যমে কৃষি তথ্য যোগাযোগ কেন্দ্র স্থাপন করেছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৫
এসএম/আরআই