ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

অনুসন্ধানকালে দুদক কর্মকর্তাকে প্রাণনাশের হুমকি!

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৫
অনুসন্ধানকালে দুদক কর্মকর্তাকে প্রাণনাশের হুমকি!

ঢাকা: চাঁদা দাবি করে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এক নারী কর্মকর্তাকে। ঢাকা থেকে খুলনায় গিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সময় দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা সেলিনা আক্তারকে নিষিদ্ধঘোষিত চরমপন্থি সর্বহারা পার্টির কমান্ডার পরিচয়ে এ হুমকি দেওয়া হয়েছে।


 
গত ১৭ নভেম্বর খুলনা জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে অবস্থানকালে তাকে এ হুমকি দেওয়া হয়। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করা হয়েছে বলে জানান সেলিনা আক্তার।
 
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ১৭ নভেম্বর বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনা জেলা প্রশাসক মো. মোস্তফা কামালের সঙ্গে তার কার্যালয়ে কথা বলছিলাম। এ সময় ০১৬২৫২৯৩২০১ নম্বর থেকে একটি ফোন আসে। সর্বহারা পার্টির কমান্ডার রণজিৎ পরিচয় দিয়ে আমার অবস্থান নিশ্চিত করা হয়। যে অভিযোগের অনুসন্ধান কাজ করছিলাম তা-ও হুমকিদাতা নিশ্চিত করে। একপর্যায়ে সর্বহারা পরিচয়দানকারী ওই লোক মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে আমার স্বামী ও সন্তানের ক্ষতি করবে বলে হুমকি দেয়।
 
হুমকির কারণ জানতে চাইলে সেলিনা আক্তার বলেন, ‘অভিযোগটি যেন সুষ্ঠুভাবে না করতে পারি হয়তো সেজন্য হুমকি আসতে পারে। ’
 
দুদক সূত্র জানায়, ‘খান এ সবুর ট্রাস্ট’র মালিকানাধীন খুলনা  টুটপাড়া মৌজার ০.৬৮ একর জালিয়াতির মাধ্যমে বিক্রি এবং বিক্রি হওয়া সম্পত্তি ব্যাংকে বন্ধক রেখে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ অনুসন্ধান করছেন দুদকের সেলিনা আক্তার। অনুসন্ধান প্রক্রিয়ায় অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, একটি অনিবন্ধিত রেজুলেশনের ভিত্তিতে  ট্রাস্ট গঠন এবং ওই ট্রাস্ট্রের বিধিমালা অনুযায়ী প্রায় ৩৩ বছর ধরে পদাধিকার বলে ট্রাস্টির সভাপতির  দায়িত্ব পালন করছেন জেলা প্রশাসক। তিনি সরকারি কর্মকর্তা হয়ে এ ট্রাস্ট থেকে নিয়মিত বেতন-ভাতা নিচ্ছেন।  
 
ট্রাস্টের সম্পত্তি জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যক্তির নামে নামজারি করে ব্যাংকে বন্ধক রেখে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। এর নেপথ্যে দীর্ঘদিন ধরে খুলনা জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে কর্মরত নাজির মো. আনিসুজ্জামানের সম্পৃক্ততা মেলে।  
 
এ বিষয়ে আরও রেকর্ডপত্র হস্তগত করতে অনুসন্ধান কর্মকর্তা খুলনা জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে গেলে ফোনে এ হুমকি পান।
 
এদিকে, জিডির সূত্র ধরে একটি গোয়েন্দা সংস্থা হুমকি প্রদানে ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরের মালিককে চিহ্নিত করেছে। সিমটি- আজিজ আক্তার, পিতা: আ. রহিম, বাড়ি নং: ২১, রোড: ৬, ধানমন্ডি, ঢাকা, পরিচয়ে নিবন্ধিত।   হুমকিদাতাকে ধরতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৫
এডিএ/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।