ঢাকা: আদালতের নির্দেশে নিহত জাপানি নাগরিক হিরোয়ি মিয়াতার (৬০) মরদেহ কবর থেকে তুলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে মরদহটির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয় বলে বাংলানিউজকে জানায় ঢামেক হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ।
ময়নাতদন্তের আলামত সংগ্রহকারী ঢামেক হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ বলেন, নিহত জাপানি নাগরিকের মরদেহে পচন ধরেছে। তার শরীরে বাইরে থেকে কোনো আঘাত করা হয়েছিলো কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য ভিসেরা ও ডিএনএ স্যাম্পল সংগ্রহ করা হয়েছে। স্যাম্পল হিসেবে হাত-পায়ের নখ ও দু’টি দাঁত সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়া, তার ওপর কোনো ধরনের যৌন নির্যাতন করা হয়েছিলো কিনা সেটিও যাচাই করা হচ্ছে।
এর আগে সকালে রাজধানীর একটি কবরস্থান থেকে মরদেহটি উত্তোলন করে ঢামেক হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যায় উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশ।
উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) বিধান ত্রিপুরা বাংলানিউজকে জানান, আদালতের নির্দেশে ওই জাপানি নারীর মরদেহ তোলা হয়।
গত ১৯ নভেম্বর উত্তরা পূর্ব থানায় জাপানি দূতাবাসের এক কর্মকর্তা ওই জাপানি নারী তিন সপ্তাহ ধরে নিখোঁজ রয়েছেন জানিয়ে একটি সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেন। পরে পুলিশ খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, গত ২৯ অক্টোবর হিরোয়ি মিয়াতাকে ঢাকার একটি কবরস্থানে সমাহিত করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে উত্তরা পূর্ব থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। পরে এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সন্দেহভাজন পাঁচ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গত মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) আদালতের নির্দেশে গ্রেফতারকৃতদের প্রত্যেককে চারদিন করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেওয়া হয়।
সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম শেখ হাফিজুর রহমান ওই নারীর মরদেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৫
এজেডএস/এনএইচএফ/এইচআর/আরএইচএস/টিআাই