ঢাকা: বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে বাংলাদেশের সঙ্গে উপকূলীয় জাহাজ চলাচলে আগ্রহ প্রকাশ করেছে থাইল্যান্ড। এ ক্ষেত্রে থাইল্যান্ডের রানং বন্দর এবং বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর হবে জাহাজ চলাচলের রুট।
এর আগে বুধবার (২৫ নভেম্বর) থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সায়দা মুনা তাসনিমের সঙ্গে এক বৈঠকে রানং প্রদেশের গভর্নর সুরিয়া কানজানাসিপ এ প্রস্তাব জানান।
সুরাইয়া বলেন, থাইল্যান্ড-বাংলাদেশ সরাসরি জাহাজ চলাচলের রুট চালু হলে পরিবহন খরচ অনেক কমে আসবে, একই সঙ্গে সময়ও বাঁচবে।
আমরা দেখতে চাই আন্দামান সাগরে রানং বন্দর থাইল্যান্ডের সঙ্গে বিমসটেক দেশসমূহের মধ্যে শিপিং হাব হিসেবে কাজ করবে। যাতে থাইল্যান্ডের সঙ্গে ইয়াঙ্গুন, চট্টগ্রাম, কলকাতা, চেন্নাই ও কলম্বোর মধ্যে সংযোগ স্থাপিত হবে এবং থাইল্যান্ড থেকে পণ্য পরিবহন গেটওয়ে হিসেবে ব্যবহৃত হবে, যোগ করেন গভর্নর।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত বলেন, যদি চট্টগ্রাম ও রানংয়ের মধ্যে জাহাজ চলাচলের সম্ভাব্যতা যাচাই-বাছাই করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং থাইল্যান্ড বন্দর কর্তৃপক্ষের সমঝোতা সই হয়, তাহলে জাহাজে পণ্য পরিবহনে পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কও জোরদার হবে। অদূর ভবিষ্যতে আমাদের ব্যাংকক থেকে বন্দর বিষয়ে দু’টি বিশেষজ্ঞ দলের সফর বিনিময়ের পরিকল্পনা রয়েছে। যা দুই বন্দরের ধারণক্ষমতা বিষয়ে সরাসরি ধারণা ও তথ্য দেবে।
দুই দিনব্যাপী সফরে (২৪ এবং ২৫ নভেম্বর) প্রদেশটির মৎস্য শিল্প মালিক, ব্যবসায়ী নেতা, রানং চেম্বার অব কমার্স এবং রানং ফেডারেশন অব ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে পৃথক পৃথক বৈঠক করেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত।
বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৫
এটি