ঢাকা: নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ ( জেএমবি) সাংগঠনিক যোগাযোগের জন্য তৈরি করছে ‘কোড ল্যাঙ্গুয়েজে’। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজর এড়াতে জঙ্গি সংগঠনটির সদস্যরা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগে জন্য ‘কোড ল্যাঙ্গুয়েজে’ বা সাংকেতিক ভাষা ব্যবহার করছেন ।
আর এ ‘কোড ল্যাঙ্গুয়েজে’ ব্যবহার করেই হত্যার পরিকল্পনা, বিভিন্ন স্থানে হামলাসহ নিজেদের মধ্যে সব ধরনের যোগাযোগ করছেন জেএমবিসহ বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা।
সাম্প্রতিক কয়েকটি হত্যা ও হামলার ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে এমনই তথ্য পেয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, বাড্ডার নিজ বাসায় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান খিজির হত্যা, চট্টগ্রামে মাজারে ঢুকে পীর ও শিষ্য হত্যাসহ সাম্প্রতিক সময়ের বেশ কয়েকটি হামলার ঘটনায় জেএমবি সদস্যদের জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। আর এসব ঘটনার আগে ও পরে তারা ‘ কোডিং ল্যাঙ্গুয়েজ’ ব্যবহার করে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করেছেন।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানান জেএমবি সদস্যরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নজর এড়াতে ‘কোড ল্যাঙ্গুয়েজে’ নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে থাকেন।
সাংগঠনিক যোগাযোগ, হত্যার পরিকল্পনা, হত্যায় অংশগ্রহণ, কোনো স্থানে হামলার আগে ও পরে সাংকেতিক ভাষায় যোগাযোগ করেন তারা। এছাড়া জেএমবি সদস্যরা ফেসবুক পেজ, নিজেদের মধ্যে চ্যাটিং করেন কোডিং ল্যাঙ্গুয়েজে। ফলে এসব ঘটনা অনুসন্ধানে গিয়ে বেশ জটিলতায় পড়তে হয় তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের।
বাড্ডা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, খিজির খান হত্যার ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে বেশ কয়েকজন জেএমবি সদস্যকে গ্রেফতার করি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারি, তারা নিজেদের মধ্যে ‘কোড ল্যাঙ্গুয়েজে’ যোগাযোগ করে থাকেন।
তিনি উদাহরণ হিসেবে বলেন, রাজধানীর সবগুলো ফ্লাইওভার ব্রিজের আলাদা সাংকেতিক নাম রয়েছে। ওই নাম ধরে ব্রিজের নিচে এসে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করেন।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ানের (র্যাব) মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান বাংলানিউজকে বলেন, শুধু জেএমবি সদস্যরাই নয়। অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরাও কৌশল হিসেবে ‘কোডিং ল্যাঙ্গুয়েজ’ ব্যবহার করেন।
তিনি বলেন, জঙ্গি সদস্যরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজর এড়াতেই এ ধরনের কৌশল অবলম্বন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৫
এনএ/এএসআর