ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বিমানবন্দরের ‍নিরাপত্তায় ‘অত্যাধুনিক’ অস্ত্র বিশেষ বাহিনীর

শেখ জাহাঙ্গীর আলম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৫
বিমানবন্দরের ‍নিরাপত্তায় ‘অত্যাধুনিক’ অস্ত্র বিশেষ বাহিনীর ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: হযরত শাহজালাল (রহ.) আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরের ‍নিরাপত্তা নিশ্চিতে আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়ানের (এপিবিএন) একটি বিশেষায়িত টিমকে দেওয়া হয়েছে ‘অত্যাধুনিক’ অস্ত্র। উচ্চতর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৫০ সদস্যের ওই টিম যেকোনো ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে সদা সজাগ।


 
বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের বিশেষায়িত ওই টিমের নাম ক্রাইসিস রেসপনস টিম (সিআরটি)। নিরাপত্তার স্বার্থে এ টিমের সদস্যদের দেওয়া হয়েছে ‘অত্যাধুনিক’ অস্ত্র হিসেবে সাব মেশিন টোরাস-৯ (এসএমটি-৯) মডেলের এসএমজি। ব্রাজিল থেকে আমদানি করা এ অস্ত্রের ম্যাগজিনের ধারণক্ষমতা ৩০ রাউন্ড গোলা। সেফটি সিলেক্ট অপশনে এ এসএমটিতে রয়েছে সেমি অটো, লিমিটেড ব্লাস্ট ও ফুললি অটো হিসেবে চালানোর সুবিধা। এছাড়া ওই টিমে থাকছে ব্লক ১৭ পিস্তলও।

সূত্রগুলো জানিয়েছে, কোনো অশুভ গোষ্ঠী যাতে বিমানবন্দরকেন্দ্রিক নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মাধ্যমে কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড না ঘটাতে পারে, সেজন্যই সিআরটিকে অত্যাধুনিক অস্ত্র দেওয়া হয়েছে।
 
জানা গেছে, এপিবিএন সদস্যদের মধ্য থেকে বাছাইকৃত চৌকস ৫০ জন সদস্যকে নিয়ে বিশেষায়িত টিম-সিআরটি তৈরি করা হয়েছে। এ টিম পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন এপিবিএন’র সিনিয়র এএসপি আলমগীর হোসেন শিমুল।

নিরাপত্তা বিষয়ক দক্ষতা এবং আধুনিক অস্ত্র পরিচালনায় টিমের সদস্যদের দেশে-বিদেশে একাধিকবার প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে। বিমানবন্দরকেন্দ্রিক নাশকতামূলক হামলা কিংবা যাত্রী জিম্মির মত যেকোনো ঘটনায় দ্রুত শত্রুর মোকাবেলায় কার্যকরী ভূমিকা পালনে এ টিম প্রস্তুত রয়েছে।
 
গোয়েন্দা সূত্রগুলো জানায়, বিমানবন্দরকেন্দ্রিক নাশকতামূলক হামলার আশঙ্কা রয়েছে। একটি গোষ্ঠি এ পরিকল্পনা করছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে গত অক্টোবর মাসে বিমানবন্দরে জারি করা হয় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। একইসঙ্গে বিমানবন্দরের ভেতরে যাত্রী ছাড়া সকল দর্শনার্থীর প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এজন্য বিমানবন্দরে প্রবেশের জন্য ৫টি কাউন্টারও বন্ধ রাখা হয়েছে।

এদিকে বিমানবন্দর এলাকার প্রতিটি প্রবেশপথসহ মোট ৩২ পয়েন্টে রয়েছে আর্মড পুলিশের একাধিক চেকপোস্ট। সব যানবাহন ও যাত্রীদের নিয়মিত তল্লাশি করা হচ্ছে। সার্বক্ষণিক তত্ত্বাধানের জন্য বিমানবন্দর এলাকায় রয়েছে ১৬০টি ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা। এর মধ্যে আর্মড পুলিশের তত্ত্বাবধানে রয়েছে ৬২টি সিসি ক্যামেরা।    
 
বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের (এপিবিএন) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আলমগীর হোসেন শিমুল বাংলানিউজকে বলেন, এপিবিএন’র বিশেষায়িত টিম-সিআরটি বিমানবন্দবের ভেতরে-বাইরে বিশেষ নজরদারি করছে। যেকোনো ধরনের ক্রাইসিস মোকাবেলায় ‘ড্রাইভ অ্যান্ড হান্ট’ পদ্ধতিতে অভিযান পরিচালনা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনবেন এ টিমের সদস্যরা।  
 
বাংলাদেশ সময়: ০১৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৫
এসজেএ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।