যশোর: যশোরে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ সীমান্ত সম্মেলন শুরু হয়েছে।
রোববার (২৯ নভেম্বর) সকাল ১০টায় যশোর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সম্মেলন শুরু হয়।
যশোরের জেলা প্রশাসক ড. মো হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে সম্মেলনে উপস্থিত রয়েছেন- খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. আব্দুস সামাদ, ভারতের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ম্যাজিস্ট্রেট (ডিসি) মন্মিত নন্দা, পুলিশ সুপার তন্ময় রায় চৌধুরী, যশোরের পুলিশ সুপার আনিছুর রহমান, যশোর জেলা সার্ভেয়ার পারভেজ মিয়া, যশোর ২৬ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কমান্ডিং অফিসার (সিও) জাহাঙ্গীর হোসেন, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক নাজমুল হাসান, পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর, সাতক্ষীরা ৩৮ বিজিবির কমান্ডিং অফিসার (সিও) আরমান হোসেন, ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক মাহবুব আলম তালুকদার ও পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন।
যশোরের জেলা প্রশাসক ড. মো হুমায়ুন কবীর বাংলানিউজকে বলেন, সীমান্ত সম্মেলন শেষে রোববার বিকেল ৪টায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হবে।
জেলা প্রশাসনের একাধিক সূত্র বাংলানিউজকে জানায়, ভারতীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনাকালে সীমান্তের ইছামতি ও কালিন্দী নদীর সীমানা চিহ্নিতকরণ, নষ্ট ও হারানো পিলার পুনঃস্থাপনসহ সাতটি ইস্যুকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। এছাড়া নারী ও শিশু পাচার প্রতিরোধ, অনুপ্রবেশ, মাদক-অস্ত্র চোরাচালান, সীমান্তে গুলি ও হত্যা বন্ধ, বন্দি বিনিময় ও অনুপ্রবেশকারীদের তাৎক্ষণিক হস্তান্তরের বিষয়ে উভয় দেশের জেলা প্রশাসকরা আলোচনা করবেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার সঙ্গে বাংলাদেশের যশোর, সাতক্ষীরা ও ঝিনাইদহের সীমান্ত রয়েছে। এসব সীমান্ত দিয়ে ইছামতি ও কালিন্দী নদী প্রবাহিত। ব্রিটিশ আমলে এই দুই নদীর সীমানা চিহ্নিত করা হয়েছিল। বর্তমানে ফের সীমানা চিহ্নিতকরণ, বাঁধ সংস্কার করে বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও স্থায়ী পিলার স্থাপন জরুরি হয়ে পড়েছে। এ বিষয়টি যৌথ সম্মেলনে আলোচনা করা হবে।
এর আগেও একটি বৈঠক ভারতের উত্তর চব্বিশ পরগনার বারাসাতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেখানে যশোরের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার অংশ নিয়েছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৫
এসআই
** রোববার যশোরে বাংলাদেশ-ভারত জেলা প্রশাসক সম্মেলন