সিলেট: শিশু আবু সাঈদ হত্যা মামলার রায় দেওয়া হবে সোমবার (৩০ নভেম্বর)। বিচারিক প্রক্রিয়া শুরুর পর মাত্র নয় কার্যদিবসে এ রায় হতে যাচ্ছে, যা দেশের আইন-আদালত ও বিচারের ইতিহাসে নতুন রেকর্ড।
রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক সম্পন্নের পর রোববার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে রায়ের এ দিন ধার্য করেন সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুর রশিদ।
অষ্টম কার্যদিবসে প্রথমে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন আদালতের পিপি অ্যাডাভোকেট আব্দুল মালেক। পরে আসামিপক্ষের সাতজন আইনজীবী যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন।
পিপি আব্দুল মালেক বলেন, সিলেটের অপর শিশু রাজন ও খুলনার খুলনার শিশু রাকিব হত্যার মামলার চেয়েও স্কুলছাত্র শিশু আবু সাঈদ হত্যার মামলার রায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে হতে যাচ্ছে। সিলেটের আলোচিত এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণার পরদিন ০১ ডিসেম্বর অবসরে যাবেন আদালতের বিচারক আব্দুর রশিদ।
এর আগে গত ২৬ নভেম্বর এ আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ৩৪২ ধারায় আসামিদের বক্তব্য পরীক্ষা ও আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়।
শিশু সাঈদ হত্যা মামলায় ৩৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। ২৬ নভেম্বর সর্বশেষ সাক্ষ্য দেন মামলার প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি মডেল থানার সাবেক উপ-পরিদর্শক (এসআই) তারেক মাসুদ, চার্জশিট দাখিলকারী তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার (ওসি-তদন্ত) মোশাররফ হোসেন ও কনস্টেবল দিলোয়ার হোসেন।
গত ১৭ নভেম্বর চার্জ গঠনের মাধ্যমে শিশু সাঈদ হত্যা মামলার বিচারকাজ শুরু হয়। মাত্র ৮ কার্যদিবসে সাক্ষ্যগ্রহণ ও যুক্তিতর্ক শেষ হয়।
গত ১১ মার্চ নগরীর শাহ মীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র আবু সাঈদ (৯) অপহৃত হয়।
অপহরণের তিনদিন পর ১৪ মার্চ নগরীর ঝর্ণারপাড় সোনাতলা এলাকায় পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর রহমান পুতুলের বাসার ছাদের চিলেকোটা থেকে আবু সাঈদের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
২৩ সেপ্টেম্বর এ মামলায় চারজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন কোতোয়ালি থানার (ওসি-তদন্ত) মোশাররফ হোসেন।
চার্জশিটে অভিযুক্তরা হলেন, সিলেটের বিমানবন্দর থানার সাবেক কনস্টেবল এবাদুর রহমান, সিলেট জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাকিব, পুলিশের কথিত সোর্স আতাউর রহমান গেদা এবং মাহিব হোসেন মাসুম। অভিযুক্তদের মধ্যে এবাদুর, রাকিব ও গেদা ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৫
এনইউ/এএসআর