পদ্মাপাড়, জাজিরা (শরীয়তপুর) থেকে: স্রোত কেটে তীব্র বেগে ছুটে চলেছে স্পিড বোট। গন্তব্য মাওয়া থেকে শরীয়তপুরের জাজিরা।
হটাৎ কী হলো? কেনই বা অশ্রুসজল সড়ক ও সেতুমন্ত্রী চোখের জল মুছলেন! আর কেনই বা ব্যক্তিগত সেই আবেগ আড়াল করতে পারলেন না তিনি!
এমন সব প্রশ্ন সফরসঙ্গীদের।
অবশ্য এই প্রশ্নের জবাব দিলেন খোদ মন্ত্রী। মাওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন সফরকে ঘিরে আয়োজিত জেলা প্রশাসন ও প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে নিজেই বললেন, ‘এ পাড়ে আসতে আড়াল করতে পারিনি চোখের জল। আমার চোখ ভিজে গেছে অশ্রুতে। এই অশ্রু আনন্দ অশ্রু। ‘
পদ্মাসেতু আর স্বপ্ন নয়। দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে। পিলার না হলে কেউ মনে করে না যে পদ্মাসেতুর কিছু একটা হচ্ছে।
যখন পাইলিং পিলার অতিক্রম করলাম তখন আর সামলাতে পারলাম না চোখের জল।
‘এই অশ্রু আমার আনন্দ অশ্রু। যাকে বলে টিয়ার্স অব জয়। ’
সূত্র বলছে, মন্ত্রী কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন, আমার চোখে ঘুম ছিলো না। খোদ মন্ত্রী পরিষদের অনেক সদস্য সন্দেহ পোষণ করেছিলেন এই প্রকল্প নিয়ে। নিজস্ব অর্থায়নে আমরা পদ্মাসেতু প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারবো কিনা।
তবে আমাদের নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সাহস আর অবিচল পদক্ষেপ আমাদের ক্রমাগত সাহস যুগিয়ে গেছে।
‘আর সেই সেতু এখন বাস্তবে। আপনারা জানেন, বিশ্বব্যাংক আমাদের কাছ থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছিলো। আমাদের চোর প্রমাণ করার চেষ্টা-ও করেছিলো। আবার তারা আসতেও চাইলো। পরে তারা উপলব্ধি করেছে,এই পদ্মা প্রকল্পে তাদের থাকা উচিৎ ছিলো। ’
‘আর আমরাও যে ঘুরে দাঁড়াতে পারি-আজ সেটাই আনন্দের। আর সেই কারণেই আমার চোখে ছিলো জল,’ বলেন মন্ত্রী।
** ভেতরে সদলবলে
** মন্ত্রীর না!
** পোস্টার আর ব্যানারে যত আপত্তি!
** মন্ত্রীর মুগ্ধতা
** পদ্মাপাড়ে চলছে প্রস্তুতি সভা
** ১৭৯তম বার পদ্মাপাড়ে মন্ত্রী
** পদ্মাপাড়ে বাংলানিউজ টিম
** কুয়াশার ভোর
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৫
এসআই/জেডআর/এসএ/এইচএ/এমএমকে/ এমএ/এএসআর