ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কারখানায় তৈরি হয়ে শত শত পাইল নামছে নদীতে

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৫
কারখানায় তৈরি হয়ে শত শত পাইল নামছে নদীতে ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

পদ্মাপাড়, মাওয়া (মুন্সীগঞ্জ) থেকে: দূর থেকে মনে হচ্ছিল পাঞ্জা দিয়ে ধরা যাবে। কিছুক্ষণ  হেঁটে কাছাকাছি যেতেই মনে হচ্ছিল, এক মানুষ সমান হবে।

আরও কাছাকাছি যাওয়ার পর মনে হল, মাথা নিচু করে এর ভেতর দিয়ে হেঁটে যাওয়া যাবে।

কিন্তু শুধু একা না, অনায়াসে ভেতরে গেলাম সদলবলে। ভেতরে গিয়ে হাত উঁচু করেও নাগাল পাওয়া গেলো না। এমন শত শত পাইপ তৈরি করা হয়েছে পদ্মাসেতুর পাইলিংয়ের জন্য।

রাতদিন বিরামহীনভাবে চলছে এই পাইপ তৈরির কাজ। ওয়েল্ডিং মিস্ত্রি ওবায়দুল হক জানালেন, প্রত্যেকটি পাইপ ৩শ’ ফুট লম্বা, আর এর ব্যস (ডায়া) হচ্ছে ১০ ফুট। আর পাইপগুলো তৈরি করা হচ্ছে ৫০ মিলিমিটার পুরু স্টিলের শিট দিয়ে।

সবটাই তৈরি হচ্ছে হাতের স্পর্শ ছাড়াই, স্বয়ংক্রিয় পাইপ ফেব্রিকেশন ইয়ার্ডে। আর সেগুলো মেশিনের মাধ্যমেই সোজা চলে যাচ্ছে পদ্মায়। যার ওপর গড়ে উঠবে দক্ষিণাঞ্চলবাসীর স্বপ্নের পদ্মাসেতু।

পাইপ তৈরির কারখানা সম্পর্কে বলতেই হয়। একে কারখানা না বলে রেলওয়ে জংশন বলে চালিয়ে দেওয়া যাবে সহজেই। ৬টি ব্রডগেজ লাইন গিয়ে সোজা মিশেছে পদ্মায়। দেখতে অনেকটা রেলওয়ে ওয়ার্কশপের মতো। তবে ওপরে রয়েছে বিশাল আকারের শেড। শেডগুলো দেখতে খানিকটা বিমানের পার্কিংয়ের মতো।

ওয়ার্কশপটিতে এসে মিশেছে সবগুলো রেললাইন। ভেতরে লাইনের উপর তৈরি করা হচ্ছে বিশাল দানবীয় সাইজের পাইপগুলো। আর সেই লাইন ধরেই সোজা চলে যাচ্ছে পদ্মার মাওয়া পয়েন্টে।

সেখানে সেতু নির্মাণ করা হবে। ওয়ার্কশপটি থেকে নদীর দূরত্ব হবে প্রায় দুই কিলোমিটার। নদী আর ওয়ার্কশপের মধ্যবর্তী স্থানটিতে পাইপ খামাল করে রাখা হয়েছে। যা ব্যবহৃত হবে মুল সেতুতে। ওয়ার্কসপটিতে দৈনিক ৪টি করে পাইপ ফিটিং করা সম্ভব।

ব্রিজের জন্য নদীতে ৪২টি পিলার বসানো হবে। যার প্রত্যেকটি পিলারে থাকবে ৬টি করে পাইলিং। এ ছাড়া উভয় পাশে স্থলভাগে থাকছে ৬টি করে মোট ১২টি পিলার। স্থলভাগের পিলারগুলোতে থাকছে ২টি করে পাইলিং।

যার ওপর রচিত হবে দক্ষিণাঞ্চলবাসীর স্বপ্নগাথা। একে ঘিরেই নতুন করে প্রাণের সঞ্চার হয়েছে ২১ জেলায়। সেতুর কাছ ঢের বাকি থাকলেও শিল্পায়নের পালে হাওয়া লেগেছে পুরোদমে।

অনেক শিল্পপতিই এখন এ অঞ্চলে জমির সন্ধানে নেমেছেন বলে জানালেন শরীয়তপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে নাহিম রাজ্জাক।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, অনেক বড় বড় শিল্প গ্রুপ এ এলাকায় বিনিয়োগ করতে আগ্রহ দেখাচ্ছে। তারা অনেকেই আমাকে বলেছে, জমির ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য। জমি পেলে তারা টেক্সটাইলসহ ভারি শিল্প স্থাপন করতে চান।

নাহিম রাজ্জাক বলেন, ঢাকা, গাজীপুর, সাভার ও আশুলিয়া এলাকায় আর শিল্পায়ন করার সুযোগ কম। তাই ভবিষ্যতে শরীয়তপুর ও মাদারীপুর হবে দেশের শিল্পের হাব।

তার মতে, মংলা পোর্ট খুব কাছে, প্রস্তাবিত পায়রা নদীবন্দর, দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল খুব কাছে হওয়ায় বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে।

** মন্ত্রীর চোখে জল!
** ভেতরে সদলবলে
** মন্ত্রীর না!
** পোস্টার আর ব্যানারে যত আপত্তি!
** মন্ত্রীর মুগ্ধতা
** পদ্মাপাড়ে চলছে প্রস্তুতি সভা
** ১৭৯তম বার পদ্মাপাড়ে মন্ত্রী
** পদ্মাপাড়ে বাংলানিউজ টিম
** কুয়াশার ভোর

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৫
এসআই/এইচআর/এসএ/এইচএ/এমএমকে/এমএইচ/এএসআর 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।