ঢাকা: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেছেন, ৩০ ডিসেম্বরের পর পৌরসভা নির্বাচন করার কোনো সুযোগ নেই। কেননা, সেটাই আমাদের শেষ সময়।
রোববার (২৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয় ত্যাগ করার সময় সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দিনভর কয়েক দফায় আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির সঙ্গে পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে বৈঠকে করেন তিনি।
বৈঠকে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি নির্বাচনে এমপিদের প্রচারণার সুযোগ দেওয়ার দাবি জানায়। আর বিএনপি সুযোগ না রাখার জোর দাবি জানায়। এছাড়া দলটি নির্বাচন ১৫দিন পেছানোর জন্য আইন সংশোধনের প্রস্তাবও করেন। একই সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের হয়রানি বন্ধ করতে ব্যবস্থা নেওয়াসহ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবসহ অন্য নেতাদের মুক্তির ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানায়।
এসব বিষেয় সিইসি সাংবাদিকদের বলেন, ফেব্রুয়ারির ১ তারিখ এসএসসি পরীক্ষা রয়েছে, আর সবগুলো পৌরসভার মেয়াদ থাকবে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। আর অনেকগুলো পৌরসভায় ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন করতে হবে। জানুযারিতে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ চলবে। কাজেই ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। কেননা, সেটাই আমাদের শেষ সময়। অন্যথায় আইন ভঙ্গ হবে।
এমপিদের প্রচারণার সুযোগ সৃষ্টির বিষয়ে সিইসি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো আমাদের প্রধান স্টেকহোল্ডার। তারা যে কোনো কথা বললে আমরা অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে নেই। আমরা যদি আইনের মধ্যে থেকে তা না করতে পারি, তবে তাদের বিষয়টি জানিয়ে দেবো।
নির্বাচন পেছানোর কোনো সম্ভাবনা আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইন মোতাবেক নির্বাচন করতে হলে ডিসেম্বর আমাদের শেষ সময়। তা না হলে আইন ভঙ্গ করে করতে হবে।
বিএনপির আটক নেতাকর্মীদের মুক্তির বিষয়ে ইসির করণীয় জানতে চাইলে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেন, আমাদের যে অ্যাকশনগুলো, তাতে আইনি প্রক্রিয়ায় তারা (বিএনপির নেতারা) উচ্চ আদালতে যাবেন। তারা (আদালত) যে সিদ্ধান্ত নেবেন, আমরা সে অনুযায়ী কাজ করবো। তাদের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল। হয়রানীমূলক গ্রেফতার করা হলে তার উপরেও প্রুভ (প্রমাণ) রয়েছে। তাই কাউকে অযাচিত হয়রানী করা হবে না, উচিত নয়।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি সাংবাদিকদের বলেন, দলগুলোর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আলোচনা করে সোমবার বিস্তারিত জানাবো হবে।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর দেশের ২৩৬ পৌরসভায় ভোটগ্রহণের তফসিল দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এই প্রথম দেশে স্থানীয় কোনো নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে ভোটগ্রহণ হবে। এক্ষেত্রে দলীয় প্রতীকে কেবল মেয়র পদে ভোট হবে। কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে আগের মতই নির্দলীয়ভাবে ভোটগ্রহণ করবে ইসি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৫/আপডেট ১৭৫৪ ঘণ্টা
ইইউডি/বিএস
** অর্থমন্ত্রণালয়কে ঋণখেলাপীদের তথ্য দিতে বললো ইসি