ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আশুগঞ্জের টাইগার বাহিনীর প্রধান আবু সামা'কে রুখবে কে?

মাসুক হৃদয়, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০১৫
আশুগঞ্জের টাইগার বাহিনীর প্রধান আবু সামা'কে রুখবে কে?

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: চলতি বছরের ১২ মে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ সদর ইউনিয়নের নাওঘাট গ্রামের ঘটনা।

দিনদুপুরে অস্ত্র-শস্ত্র ও পেট্রোল নিয়ে শ'খানেক লোক এসে একটি বাড়ির পাকা দুটি ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে পুড়ে যায় একটি ঘরের টিনের চালাসহ ঘর দুটির দামী আসবাবপত্র। এর আগে লুটে নেওয়া হয় স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র। ককটেল হামলা চালিয়ে ঘর দুটির ফ্লোরের টাইলস পর্যন্ত ছিন্নভিন্ন করা হয়। সেদিনের তাণ্ডব যারা দেখেছে তাদের ভীতি আর আতংক এখনো কাটেনি। মধ্যযুগের বর্বরতাকে ছাপিয়ে গেছে সেদিনের ঘটনা। কারণ ওই আগুন নেভানোর মতো সাহস কারো ছিলো না।

বাড়িটির নারী-শিশুসহ ২৬ জন সেদিন যে বাড়ি ছাড়েন আজ অবধি ছয় মাসেও তারা বাড়ি ফিরতে পারেননি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ‘এরশাদ শিকদার’ নামে খ্যাত আশুগঞ্জের তালশহর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, দুর্ধর্ষ টাইগার বাহিনীর প্রধান আবু সামা ওরফে 'টাইগার সামা'র নেতৃত্বে এমন নারকীয়তা চালানো হয় নাওঘাটের লেবানন প্রবাসী সাদেক মেম্বারের বাড়িতে। তবে অত্যাচার নির্যাতন আর মিথ্যা মামলায় জড়ানোর ভয়ে এসব নিয়ে কথা বলে না কেউ। যেন আবু সামা'র রাজ্যে সবাই 'বোবা'।

কারণ তিনিই দীর্ঘদিন ধরে গায়ের জোরে ইউপি চেয়ারম্যান। আবু সামা'র বিরুদ্ধে সংখ্যালঘুদের সম্পত্তি দখল, হত্যা, রগকাটা, নারী নির্যাতনসহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। নারায়ণগঞ্জের ‘নূর হোসেনের’ মতো তিনিও যখন যে সরকার, তার হয়ে যান। আর এবারও পৌর নির্বাচন সামনে রেখে চলছে তার অপতৎপরতা।

সর্বত্র উদ্বেগ-উৎকন্ঠা
ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট রেলপথের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর রেলস্টেশন থেকে রেললাইন ধরে কয়েক’শ গজ পূর্ব দিকে এগুলেই ডান পাশে নাওঘাট গ্রাম। এখানকার গ্রামবাসীর মধ্যে এখনো উদ্বেগ-উৎকন্ঠার পাশাপশি চরম ক্ষোভ ও চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। টাইগার বাহিনীর প্রধান আবু সামার নাম শুনতেই আঁতকে উঠেন তারা।
 
গত রোববার সরেজমিন নাওঘাট গ্রামের ওই বাড়িতে (সাদেক মেম্বারের বাড়ি)গিয়ে দেখা গেছে, পূর্ব-পশ্চিম ভিটির পাকা ঘরটির টিনের চালা নেই। আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে গেছে টিনের চালাসহ দরজা-জানালা। ওই ঘরটির পাঁচটি কক্ষে থাকা স্টিল ও কাঠের আলমিরা, খাট, সোফা, ডাইনিং টেবিল-চেয়ারসহ লেপ-তোষক পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পাশের দক্ষিণ ভিটির ঘরের পাঁচ কক্ষের ফ্লোর টাইলস পর্যন্ত ছিন্ন-ভিন্ন। পাকা ছাদ বিশিষ্ট ওই ঘরটিরও সব আসবাবপত্র ভস্মীভূত হয়ে গেছে। বাড়ির পুর্ব দিকের পুকুরের পাকা ঘাটলাটি পর্যন্ত ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।


 
ওই ঘাটে দেখা হয় ষাটোর্ধ এক বৃদ্ধার সঙ্গে। নিজের নাম-পরিচয় দিতে ভীষণ ভয় তার। তিনি বললেন, ‘সেদিন ভয়ে দৌড়ে পুকুরের ওপারে শামসু মেম্বারের বাড়িতে পালাইছি। সেখান থেকে বিলাপ করছি। কিন্তু কেউ শুনেনি। এখনো সেই ঘটনা মনে অইলে ডরাই’।
 
পশ্চিম পাশের বাড়ির বাসিন্দা এক গৃহবধু বলেন, ‘দুই মেয়েসহ দুপুরের ভাত খাচ্ছিলাম। ভয়ে খাবার ফালাইয়া পালাইছি’।

উত্তর পাশের বাড়িতে থাকা সত্তরোর্ধ একজনকে পাওয়া গেলো বাড়িতেই। বলেন, ঘটনার দুদিন পর বাড়ি ফিরে এই তাণ্ডব দেখেছি। তিনি জানালেন, হেলালের ছেলে-মেয়ে ও তার অন্য ভাইদের সন্তানসহ নয় জন এবার নিজ নিজ ক্লাশের দ্বিতীয় সাময়িক ও বার্ষিক পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি।

রেললাইনে গরু চড়াতে দেখা গেলো নাওঘাট গ্রামের ষাটোর্ধ আরেক বৃদ্ধের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘কেডা যাইবো হুদোহুদি (শুধুশুধু) কথা কইতো। মানুষ ভালা না আবু শামা। দেশের বাইরে কি অইছে না অইছে বেডারার বাড়িঘর পুইড়া ফালাইছে। এইটা কোন কাম অইল’।

সেদিনের ঘটনা দেখার পর থেকে এখনো ভয় লাগে নাওঘাট উত্তর পাড়া দারুল ক্বোরআন মোহাম্মদীয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার ১২ বছরের এক বালকের ভাষায়, এ ঘটনা দেখার পর গায়ে জ্বর উইঠ্যা গেছিল। অনেক ভয় পাইছি। এখনো ভয় যায়নি।

যে কারণে হামলা :
গত ১০ মে বাংলাদেশ সময় রাত নয়টার দিকে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে প্রতিপক্ষের গুলিতে সজীব শিকদার (২৩) নামে এক যুবক নিহত হয়। নিহত যুবক সজীব শিকদার বিজয়নগর উপজেলার হরষপুর গ্রামের শামসু শিকদারের ছেলে। সে তালশহর ইউপি চেয়ারম্যান আবু শামা’র নাতি ও আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আমির হোসেনের ভাগিনা।
 
লেবাননে মর্মান্তিক এই খুনের ঘটনার জন্য দায়ি করা হয় সজিবদের প্রতিবেশি, লেবানন প্রবাসী হেলাল উদ্দিন ও তার ভাই শ্যামলকে। ওই খুনের সঙ্গে তাদের  কোন প্রকার সংশ্লিষ্টতার প্রমান ছাড়াই ঘটনার দু'দিন পর ১২ মে নাওঘাট গ্রামের লেবানন প্রবাসী পাঁচ ভাই মো. কামাল উদ্দিন, জামাল উদ্দিন, মো. লুৎফুর রহমান শ্যামল, মো. হেলাল উদ্দিন ও জালাল উদ্দিনের বাড়িতে মধ্যযুগীয় কায়দায় বর্বর হামলা চালানো হয়।

চেয়ারম্যান আবু সামা নিজেই দিনদুপুরে কয়েকশ লোক নিয়ে সশস্ত্র এই হামলার নেতৃত্ব দেন। এসময় তার ছেলে আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আমীর হোসেনও সঙ্গে ছিলেন।
 
ক্ষতিগ্রস্ত হেলাল উদ্দিন জানান, লেবাননে একটি মেয়ের সঙ্গে প্রেমের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পিয়াস নামে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের এক যুবকের গুলিতে প্রাণ হারায় সজিব। ওই মেয়েটিও তখন গুলিবিদ্ধ হয়। কিন্তু এর দোষ তাদের উপর চাপানো হয়।
 
এ ঘটনায় তার ভাই শ্যামলকেও দায়ী করা হলে তিনি লেবাননের আদালত থেকে নির্দোষ প্রমাণিত হন। কিন্তু অযথা তাদেরকে দায়ি করে অসৎ উদ্দেশ্যে তাদের বাড়িঘরে হামলা চালানো হয়। ঘরের ভেতর থেকে লুট করে নেয়া হয় প্রায় ৫০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ প্রায় সাত লাখ টাকাসহ লাখ টাকার আসবাবপত্র।

পুলিশের গড়িমসি!
ঘটনার পর আশুগঞ্জ থানার সেই সময়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জাফরসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা ছুটে এসে তাণ্ডব দেখে। এ অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যরা পুলিশের কাছে গিয়েও কোনো সহযোগিতা পাননি। এরপর (গত ২ সেপ্টেম্বর) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হেলাল উদ্দিনের মা রেজিয়া বেগম একটি মামলা দায়ের করেন।

চেয়ারম্যান আবু সামাকে এ মামলার প্রধান আসামি করা হয়। মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- আবু সামার ছেলে আমির হোসেন, আরেক ছেলে সাচ্চু মিয়া, বেয়াই বসু মিয়া, তার ছেলে সেলিম মিয়া ও জাবেদ মিয়া, এরফান ডাক্তারের ছেলে সালাউদ্দিন।
 
আদালত আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিলেও এখন পর্যন্ত মামলাটি নিয়ে নিস্ক্রিয় পুলিশ। পুলিশের গড়িমসিতে তদন্ত পর্যায়েই আটকে আছে মামলাটির কার্যক্রম।
 
এ অবস্থায় হেলাল উদ্দিনের পরিবারের লোকজন এখন বাড়িছাড়া। একের পর এক হুমকি দেওয়া হচ্ছে তাদেরকে।  

কে এই আবু সামা
অক্ষর জ্ঞানহীন আবু সামা’র দাদা ওয়াহাব মিয়া একসময় লাঠিয়াল বাহিনীর সর্দার ছিলেন। দেশ স্বাধীনের আগে তার বাবা এলাই মিয়া গড়ে তুলেছিলেন ডাকাত দল। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকবাহিনীর সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে এই ডাকাত দল। তারা সেসময় লুটপাট ও জায়গা সম্পত্তি দখলে ব্যস্ত থাকে। আশুগঞ্জের স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা কয়েকবার এই ডাকাতদলকে হত্যার পরিকল্পনা করে ব্যর্থ হন।
 
১৯৮২ সাল থেকে জাতীয় পার্টি করা আবু সামা ১৯৯৪ সালে বিএনপিতে যোগ দেন। জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়ে রাজনৈতিক সুবিধা নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন। সেসময় গম চুরির দায়ে তার বিরুদ্ধে মামলা হলে তিনি কারাভোগ করেন। কারাগার থেকে রক্ষা পেতে তিনি ১৯৯৪ সালে ক্ষমতাসীন বিএনপিতে চলে আসেন।

পরবর্তীতে ১৯৯৮ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে ২০১৩ সালে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হওয়ার মধ্য দিয়ে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন। এসময়ের মধ্যে স্থানীয় লাঠিয়ালদের নিয়ে গড়ে তোলেন ‘টাইগার বাহিনী’। আবু সামা দুর্ধর্ষ এই টাইগার বাহিনীর নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন।

টাইগার বাহিনীর যত অপকর্ম
ব্রিটিশ শাসনামলে ভৈরব বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, তালশহর গ্রামের বাসিন্দা বুধাই সাহার দুই একর জমিসহ সমুদয় সম্পত্তি দখল করে সেখানে প্রাসাদোপম বাড়ি তৈরি করে বসবাস করছেন টাইগার বাহিনী প্রধান আবু সামা।

তালশহর পূর্ব পাড়ার গুরুদাস সাহা’র শত বছরের পুরনো নান্দনিক তিন তলা জমিদার বাড়ি দখল করে ওই বাড়ির দোতলায় রঙমহল বানিয়েছেন আবু সামা। সেই রঙমহলে রাতের বেলা মদ ও গান বাজনার আসর বসিয়ে ওই পাড়ার হিন্দু যুবতীদের ধরে এনে আমোদ-ফুর্তি করা হয়।
 
সেসময় স্থানীয় কালু সাহা’র মেয়ে স্বপ্না রাণী সাহা’কে ওই রঙমহলে নির্যাতন শেষে হত্যা করে টাইগার বাহিনী। এছাড়া কয়েকজন হিন্দু যুবতী টাইগার বাহিনীর অত্যাচারে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। ওই পাড়ার কৈলাস সাহা, গগন সাহা ও নিবারণ সাহা’র পরিবারকে উচ্ছেদ করে আবু শামার বাহিনী। এরপর ওইসব পরিবারের লোকজন ভারতে চলে যায়।

থাবা সরকারি জমিতে
টাইগার বাহিনী প্রধান আবু সামা তালশহরে রেলের জায়গা দখল করে সেখানে ইমারত তৈরি করে তা এলাকার সাধারণ মানুষের কাছে উচ্চমূল্যে বিক্রি করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। অক্ষর জ্ঞানহীন আবু সামা প্রভাব খাটিয়ে স্থানীয় তালশহর এআরআই উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতির পদও আকড়ে আছেন। তার বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ, বিদ্যালয় সংলগ্ন মার্কেটের দোকান বরাদ্দ ও ভাড়া, উন্মুক্ত জলাশয়ের মাছ বিক্রির টাকা, বিদ্যালয় মাঠে গরুর হাট বসিয়ে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। বিদ্যালয়ের ১১ শতক জমি দখলে নিয়ে সেখানে দোকান ঘর বানিয়ে বিক্রি করে দেন তিনি। জমির দাতার বর্তমান ওয়ারিশকে দিয়ে বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে মামলা করিয়ে জমিগুলো তার গ্রাসে নেন। বর্তমানে বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন ভেঙ্গে এর অবকাঠামোগত পরিবর্তন করে সেখানে মার্কেট বানিয়ে দখলের পায়তারাও করছেন বলে জানা গেছে।
 
এছাড়া বিদ্যালয় মাঠের মাটি বিক্রয়, বিদ্যালয়ের পুকুর নিজের ছেলের কাছে ইজারা দিয়ে বছরের পর বছর অর্থ আত্মসাত করছেন আবু সামা।
 
অবশ্য চেয়ারম্যান আবু সামা তার নেতৃত্বে বাড়িঘরে হামলার অভিযোগ উড়িয়ে দেন। তিনি বলেন, সব মিথ্যা। আমি এসবের কিছুই জানি না। জায়গা সম্পত্তি দখলসহ অন্যান্য অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, এসবও মিথ্যা, ষড়যন্ত্র।
 
আবু সামা’র ছেলে আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আমির হোসেনও নিজেদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, এলাকায় উত্তেজিত লোকজন ওই বাড়িতে গিয়েছিল বলে শুনেছি।

আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন জানান, বাড়িঘরে কারা আগুন দিয়েছে তা নিশ্চিত নয়। তবে লেবাননে একটা ঘটনা ঘটেছিল। একটা ছেলেকে মেরে ফেলা হয়েছিল। ওই ছেলে আবু সামা চেয়ারম্যানের নাতি হয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এই ঘটনা ঘটে। তবে ঘটনাটি তদন্তাধীন আছে।
 
লেবানন প্রবাসীদের পরিবারের লোকজন বাড়িছাড়া ও শিশু শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দিতে না পারার বিষয়ে ওসি বলেন, ভয়ে কেউ পরীক্ষা দিতে পারছে না এমন কথা তো পুলিশকে জানানো হয় নাই। একটা জিডিও করে নাই কেউ। কেউ না জানালে পুলিশের কি করার আছে।

বাংলাদেশ সময় : ০৯৩৪ ঘন্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৫
এমএমকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।