সাতক্ষীরা: কেউ এনেছেন আমরুল, তেলাকচুঁ। কেউ এনেছেন ঘ্যাটকল, কাটানটি, কলমি বা হেলেঞ্চা।
গ্রামের গৃহবধূদের এমন প্রায় শতাধিক রকমের কুড়িয়ে পাওয়া শাক-সবজি নিয়ে রোববার (২৯ নভেম্বর)
হয়ে গেলো পাড়া মেলা।
গৃহবধূদের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সংগ্রহ করা এসব শাক-সবজি নিয়ে আয়োজিত মেলায় সবার মধ্যে ছিল উৎসবের আমেজ।
বিকেলে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার তুজলপুরে কুড়িয়ে পাওয়া অচাষকৃত উদ্ভিদ-বৈচিত্র্য শনাক্তকরণ, শ্রেণিকরণ, সংরক্ষণ, সম্প্রসারণ ও ব্যবহার বৃদ্ধির লক্ষ্যে গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক আয়োজন করে এই পাড়া মেলার। এর উদ্বোধন করেন ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম।
মেলায় তুজলপুর গ্রামের অর্ধশতাধিক গৃহবধূ কুড়িয়ে পাওয়া শতাধিক প্রজাতির শাক-সবজির নিয়ে আসেন। এগুলো দেখতে মেলায় ভিড় জমান নানা বয়সী গ্রামের নারী-পুরুষসহ আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা।
মেলায় কুড়িয়ে পাওয়া সর্বোচ্চ ৮০ প্রজাতির শাক-সবজি প্রদর্শন করে প্রথম স্থান অর্জন করেন ফজিলা খাতুন। ৫০ প্রজাতির শাক-সবজি প্রদর্শন করে নিলুফা খাতুন দ্বিতীয় স্থান এবং ৪৮ প্রজাতির শাক-সবজি প্রদর্শন করে ফাতেমা খাতুন তৃতীয় স্থান লাভ করেন।
পরে তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কাজী আব্দুল মান্নান।
এ সময় তিনি বলেন, আমাদের চারপাশে কুড়িয়ে পাওয়া অচাষকৃত শাক-সবজি পুষ্টির ভাণ্ডার। এগুলো সংরক্ষণ ও ব্যবহারের মাধ্যমে পারিবারিকভাবে অপুষ্টি দূর করা সম্ভব। অচাষকৃত উদ্ভিদ-বৈচিত্র্যের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানতে সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে স্থানীয় তুজলপুর-আখড়াখোলা সিআইজি সমবায় সমিতির সভাপতি ইয়ারব হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো ছিলেন, জেলা কৃষি প্রশিক্ষণ অফিসার জিএ আব্দুল গফুর, সদর উপজেলা কৃষি অফিসার আমজাদ হোসেন, ব্যাংক কর্মকর্তা সালাউদ্দিন আহমেদ, বারসিকের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী শাহীন ইসলাম, ব্যবসায়ী ফারুক হোসেন, জামাল নাসের ডিউক, তুজলপুর-আখড়াখোলা সিআইজি সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রহমান, শাহাঙ্গীর আলম, সাংবাদিক আব্দুস সামাদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৫
এসআর