ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পাটজাত মোড়ক ব্যবহার বাস্তবায়নে সাঁড়াশি অভিযান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৫
পাটজাত মোড়ক ব্যবহার বাস্তবায়নে সাঁড়াশি অভিযান ছবি: কাশেম হারুন/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ধান, চাল, গম, ভুট্টা, সার ও চিনি পরিবহনে পাটজাত মোড়কের ব্যবহার বাধ্যতামূলক আইন বাস্তবায়নে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়।

সোমবার (৩০ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ১টায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মীর্জা আজমের নেতৃত্বে অভিযান শুরু হয়।

অভিযানে অংশ নেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মশিউর রহমান, বিজেএমসির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হোসেন খালেদ ও পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন প্রমুখ।

অভিযানকারী দল কারওয়ান বাজারের বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখে। পাটজাত মোড়ক ব্যবহার না করার দায়ে এক দোকানিকে ৫ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়। একই সঙ্গে পাটজাত মোড়ক বাধ্যতামূলক আইন বাস্তবায়নে ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী মীর্জা আজম।

সাংবাদিকদের সঙ্গে বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী বলেন, ধান, চাল, গম, ভুট্টা, সার ও চিনি পরিবহনে ঢাকাসহ দেশের বিভাগ, জেলা, উপজেলা ও থানা পর্যায়ে এ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।

সরকার এ ব্যাপারে হার্ডলাইনে-যথেষ্ট কঠোর। যেকোনো মূল্যে ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের ব্যবহার বাধ্যতামূলক আইন, ২০১০ বাস্তবায়ন করা হবে। সাতদিন চলবে এ অভিযান। এর মধ্যে সব যায়গায় পাটজাত মোড়ক ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে বলেও জানান মীর্জা আজম।

তিনি বলেন, প্রাথমিক অবস্থায় আমরা বাস, ট্রাক, পিকআপে পরিবহনযোগ্য ৫০ কেজির প্লাস্টিক বা পলিথিনের বস্তা ব্যবহার রোধে অভিযান পরিচালনা করব। পরবর্তী সময়ে আমরা এক থেকে পাঁচ বা দশ থেকে বিশ কেজির প্লাস্টিক বা পলিথিনের বস্তা ব্যবহার রোধে অভিযান পরিচালনা করবো।

এ আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আগামী দুই মাসে যে পরিমাণ পাটের বস্তার প্রয়োজন হবে তা ইতোমধ্যে মজুত রয়েছে। এসব সরবরাহ করবে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বিজেএমসি- যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী।

এরপর প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনাকারী টিম রাজধানীর বাদামতলীতে যায়। সেখানে স্থানীয় সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমসহ অভিযানে অংশ নেন। বাদামতলী ঘুরে সন্তোষ প্রকাশ করেছে অভিযান পরিচালনাকারী টিম।

বাদামতলীতে ৯০ শতাংশ পাটজাত মোড়ক ব্যবহার হচ্ছে। সাতদিনের মধ্যে এটা শতভাগে উন্নীত হবে বলে অভিযানকারী দলকে আশ্বস্ত করেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।

কারাদণ্ড, অর্থদণ্ড, ব্যাংক ঋণ সুবিধা বন্ধ ও লাইসেন্স বাতিলের বিধান রেখে ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের ব্যবহার বাধ্যতামূলক আইন, ২০১০ বাস্তবায়নে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছে সরকার। এই আইনের ১৪ ধারা অনুযায়ী পাটের মোড়ক ব্যবহার না করলে অনূর্ধ্ব এক বছর কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। এ অপরাধ পুনর্বার করলে সর্বোচ্চ দণ্ডের দ্বিগুণ দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে।

এছাড়া বিশেষ ছয়টি পণ্যে পাটের মোড়ক ব্যবহার না করলে ব্যাংকঋণ সুবিধা দেওয়া হবে না। ইতোমধ্যে তফসিলি ব্যাংকগুলো এ বিষয়ে নির্দেশনা জারি করেছে। একইসঙ্গে চাতাল মিল মালিকরা পাটের ব্যাগ ব্যবহার না করলে খাদ্য মন্ত্রণালয় তাদের লাইসেন্স বাতিল করবে। পাশাপাশি আমদানি ও রফতানিকালে পাটের ব্যাগ ব্যবহার না করলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আইআরসি বা ইআরসি বাতিল করবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৫
এসইউজে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।