ঢাকা: একাত্তরে বাংলাদেশে চালানো হত্যাযজ্ঞ ও কুকর্মের কথা অস্বীকার করেছে পাকিস্তান।
স্বাধীনতার ৪৫ বছর পর ইসলামাবাদে নিযুক্ত বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে পাল্টা তলব করে এ দাবি করে একাত্তরে বাংলাদেশে গণহত্যা চালানো হানাদারদের দেশ পাকিস্তান।
ঢাকায় শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকরের পর ‘উদ্বেগ ও ক্ষোভ’ জানাতে সোমবার (৩০ নভেম্বর) দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে হাইকমিশনারকে তলব করা হয়।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, একাত্তরে মানবতাবিরোধী ও গণহত্যায় পাকিস্তান জড়িত ছিল বলে বাংলাদেশ সরকার দাবি করছে। কিন্তু এসব দাবি ‘ভিত্তিহীন’ ও ‘অমূলক’ উল্লেখ করে তা প্রত্যাখ্যান করছে পাকিস্তান সরকার।
এর আগে ২৫ নভেম্বর পাকিস্তানের সংসদে বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধের বিচারকে ‘ভ্রান্ত যুদ্ধাপরাধের বিচার’ বলে আখ্যায়িত করেন সংসদ সদস্যরা।
একই সঙ্গে বিষয়টিকে আন্তর্জাতিক আদালতে নিয়ে যেতে পাকিস্তান সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারা।
এরপর দেশটির ক্ষমতাসীন দলের আইনপ্রণেতা এমএনএ শেখ আফতাব আহমেদ বাংলাদেশি হাইকমিশনারকে তলবের বিষয়টি জানান।
গত ২১ নভেম্বর দিনগত রাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা সাকা চৌধুরী ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের রায় কার্যকর করা হয়।
এরপর দিন এ রায় কার্যকরের ঘটনায় ‘উদ্বেগ ও ক্ষোভ’ প্রকাশ করে বিবৃতি দেয় পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া দুই যুদ্ধাপরাধীকে রাজনৈতিক নেতা উল্লেখ করে ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভের সঙ্গে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যুদণ্ডের ঘটনা লক্ষ্য করেছি। এ ঘটনায় আমরা গভীরভাবে অসন্তুষ্ট। ’
তবে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ‘অগ্রহণযোগ্য হস্তক্ষেপ’ করায় ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সুজা আলমকে তলব করে জোর প্রতিবাদ জানায় বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৫
জেপি/এমএ
** বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে তলব করছে পাকিস্তান