ঢাকা: আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। স্লটটা (সময়) খুব কম।
সিইসির এই বক্তব্যের কয়েকদিনের মাথায় সিইসির সেই বক্তব্যকে উড়িয়ে দিলেন নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ।
মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) তিনি ইসি সচিবালয়ের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, যদি কেউ বলে যে তাড়াহুড়া করে আমরা তফসিল দিয়েছি, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, অসত্য কথা।
একটি দল বলছে, সরকারকে সুবিধা দিতেই তফসিল করেছে ইসি। বিষয়টি এমন কি না, জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার শাহ নেওয়াজ এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, জুন থেকেই বলে এসেছি ডিসেম্বরে এ নির্বাচন হবে। সে কারণে ডিসেম্বরে নির্বাচন রেখেছি। কাজেই কেউ যদি বলে থাকে যে আমরা তাড়াহুড়া করেছি অথবা কারও নির্দেশে করছি, তবে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, অসত্য কথা। কারণ বহু আগে থেকেই প্রচার করে আসছি ডিসেম্বরে নির্বাচন করবো।
নির্বাচন কমিশনার এমন বক্তব্য গণমাধ্যমে দিলেও গত ২৪ নভেম্বর সিইসি বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। স্লটটা (সময়) খুব কম। তাই খুব তাড়াতাড়ি কাজ করতে হয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করতে না পারলে, জুনে নির্বাচন করতে হতো। কেননা, এর মাঝে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা আছে। আবার জুনে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আছে। তাই ডিসেম্বর ছাড়া নির্বাচন করার কোনো উপায় নেই। আইনের সংশোধনীও হয়েছে দেরিতে। এজন্য তাড়াহুড়ো করেই সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আমাদের হাতে সব দলের সাথে আলোচনা করার সময় ছিলো না।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর দেশের ২৩৫টি পৌরসভায় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করবে ইসি। এবারই দেশে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে কোনো স্থানীয় নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এক্ষেত্রে দলীয় প্রতীকে ভোট হবে কেবল মেয়র পদে। কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে আগের মতই নির্দলীয়ভাবে ভোটগ্রহণ করবে ইসি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৫
ইইউডি/এমজেএফ