ঢাকা: ছয়টি কৃষিপণ্যে দেশব্যাপী পাটের ব্যাগ ব্যবহার নিশ্চিতে দু’দিনের অভিযানে প্রায় ১৭ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সোমবার (৩০ নভেম্বর) ও মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) ২২২টি ভ্রাম্যমাণ আদালত এসব জরিমানা আদায় করে।
সোমবার (৩০ নভেম্বর) দেশব্যাপী ধান, চাল, গম, ভুট্টা, সার ও চিনি এই ছয়টি কৃষিপণ্য সংরক্ষণ ও পরিবহনে পাটের ব্যাগ ব্যবহার নিশ্চিত করতে অভিযান শুরু হয়।
অভিযানের দ্বিতীয় দিনে মঙ্গলবার (০১ ডিসেম্বর) রাজধানীর কৃষি মার্কেট, মোহাম্মদপুর ও কচুক্ষেত বাজার ও চালের আড়ত এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। আর সারাদেশে জেলা নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে পরিচালিত হয় ৬২টি ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় ১৪২টি মামলা ও পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মোহাম্মদ মশিউর রহমান। এসময় জানানো হয়, এই ছয়টি পণ্যে শতভাগ পাটের ব্যাগ ব্যবহার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে।
সোমবার সারাদেশে ১৬০টি অভিযান পরিচালিত হয়। জরিমানা আদায় করা হয় ১১ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। তবে এদিন কোনো মামলা হয়নি।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা সৈকত চন্দ্র হালদার বাংলানিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রসঙ্গত, কারাদণ্ড, অর্থদণ্ড, ব্যাংক ঋণ সুবিধা বন্ধ, লাইসেন্স বাতিল, আইআরসি বা ইআরসি বাতিলের বিধান রেখে ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০’ বাস্তবায়নে এ অভিযান চালু হয়েছে।
পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০ এর ধারা ১৪ অনুযায়ী, পাটের মোড়ক ব্যবহার না করলে অনূর্ধ্ব এক বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। এ অপরাধ দ্বিতীয়বার হলে সর্বোচ্চ দণ্ডের দ্বিগুণ দণ্ড দেওয়া হবে।
এছাড়া ছয়টি পণ্যে পাটের মোড়ক ব্যবহার না করলে ব্যাংকঋণ সুবিধা দেওয়া হবে না। এরই মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে তফসিলি ব্যাংকগুলোকে এ বিষয়ে নির্দেশনা জারি করেছে।
একইসঙ্গে চাতাল মিল মালিকগণ পাটের ব্যাগ ব্যবহার না করলে খাদ্য মন্ত্রণালয় তাদের লাইসেন্স বাতিল করবে। পাশাপাশি আমদানি ও রফতানিকালে পাটের ব্যাগ ব্যবহার না করলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আইআরসি বা ইআরসি বাতিল করবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৫
একে/আরএইচ
** সোমবার থেকে পাটের ব্যাগ ব্যবহারে অভিযান