ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শান্তিচুক্তির বর্ষপূর্তি

সরকারি ক্রোড়পত্রের বিরোধিতা নাগরিক উদ্যোগের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০১৫
সরকারি ক্রোড়পত্রের বিরোধিতা নাগরিক উদ্যোগের ছবি :কাশেম হারুন/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তিচুক্তির ১৮ বছর পূর্তিতে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে ক্রোড়পত্রে যেসব প্রচারণা করা হয়েছে তার বিরোধিতা করা হয়েছে।

বুধবার (০২ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনিস্টিটিউট মিলনায়তনে জাতীয় নাগরিক উদ্যোগ আয়োজিত পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ১৮তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন: একটি জাতীয় অঙ্গীকার’ শীর্ষক আলোচনায় ক্রোড়পত্রে প্রকাশিত বিভিন্ন বিষয়ের সমালোচনা করেন বক্তারা।

 
তারা বলেছেন, প্রকাশিত ক্রোড়পত্রে সরকারের পক্ষ থেকে একপেশে প্রচারণা করা হয়েছে। চুক্তির বাস্তবায়ন না হলে এ ধরনের প্রচারণা অনর্থক।

সভাপতির বক্তব্যে বিশিষ্ট কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, শান্তিচুক্তির ১৮ বছর পূর্তিতে সরকার বিভিন্ন কাগজে ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে। ক্রোড়পত্র প্রকাশ মানেই বিশেষ দিন। কিন্তু আদিবাসীদের জন্য বিশেষ না হয়ে এ দিন বিষাদের দিনে পরিণত হয়েছে। কারণ এ দিনে 'শান্তিচুক্তি' নামের যে চুক্তি হয়েছে তার মূল বিষয়গুলো বাস্তবায়িত হয়নি। যদি চুক্তির উল্লেখযোগ্য বিষয়গগুলো বাস্তবায়িত হতো, তাহলে এদিনে পার্বত্য চট্টগ্রামবাসী আনন্দ করতেন। তা না করে আজ চুক্তি বাস্তবায়িত না হওয়ায় আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন তারা।

তিনি বলেন, ক্রোড়পত্রে সরকার তাদের অর্জন বললেও এ অর্জন সেদিন হবে যেদিন এর মূল বিষয়গুলো বাস্তবায়িত হবে। বলা হয়েছে, কয়েকটি ধারা বাস্তবায়িত হয়েছে। মূলত এগুলো গৌণ ধারা।

উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, বিয়ে বাড়িতে কেউ খাবারের জন্য গেলে তাকে আসল খাবার না দিয়ে যদি পেঁয়াজ, শসা বা সালাদ দেওয়া হয়, এটাকে তো খাবার বলা যাবে না। তেমনি যে ধারাগুলো মূল তা আগে বাস্তবায়ন করতে হবে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) সভাপতি ঊষাতন তালুকদার এমপি বলেন, আজ শান্তিচুক্তির বর্ষপূর্তির দিনটিতে আনন্দ হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু তা না হয়ে দিবসটি ক্ষোভে পরিণত হয়েছে। আমরা শান্তি চাই। চুক্তির বাস্তবায়ন চাই। বাস্তবায়নে সরকারের আন্তরিকতা প্রবলভাবে দেখতে চাই।

বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং বলেন, সরকার দাবি করছে, ৭২টি ধারার মধ্যে ৪৮টি ধারা বাস্তবায়িত হয়েছে। বস্তুত ২৫টি ধারা বাস্তবায়িত হয়েছে। দুই-তৃতীয়াংশ ধারা অবাস্তবায়িত রয়ে গেছে।

তিনি বলেন, আজ যে ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হয়েছে, তা কেবল সরকারের পক্ষ থেকে একপেশেভাবে বলা হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামবাসীর পক্ষের কিছু বলা হয়নি।

সংস্কৃতিকর্মী রুপশ্রী চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন, সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, ঐক্যন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য, সাংবাদিক মোজাম্মেল হোসেন, অধ্যাপক মেজবাহ কামাল প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৫
এডিএ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।