ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

গোপন চাঁদা বন্ধ করতে ৪ মন্ত্রণালয়ে ইসির নির্দেশনা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০১৫
গোপন চাঁদা বন্ধ করতে ৪ মন্ত্রণালয়ে ইসির নির্দেশনা

ঢাকা: আসন্ন পৌরসভা নির্বাচন উপলক্ষে প্রার্থীদের প্রকাশ্যে বা গোপনে সব রকম চাঁদা প্রদান বন্ধ করতে চার মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বুধবার (০২ নভেম্বর) ইসির সহকারী সচিব রাজীব আহসান স্বাক্ষরিত নির্দেশনাটি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, খাদ্য, দুর্যোগ ও ত্রাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।



মন্ত্রণালয়গুলোর সচিবদের পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়েছে- নির্বাচন পূর্ব সময়ে অর্থাৎ নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার তারিখ থেকে ফলাফল সরকারি গেজেটে প্রকাশের তারিখ পর্যন্ত কোনো প্রার্থী বা প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী কিংবা তার পক্ষ থেকে অন্য কোনো ব্যক্তি, সংস্থা/প্রতিষ্ঠান/রাজনৈতিক দল সংশ্লিষ্ট পৌরসভা, পৌরসভাসমূহের এলাকায় অবস্থিত কোনো প্রতিষ্ঠানে প্রকাশ্যে বা গোপনে কোনো প্রকার চাঁদা বা অনুদান প্রদান করতে পারবে না।

কেউ তা না মানলে অনধিক ছয় মাসের কারাদণ্ড, অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে অথবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

এক্ষেত্রে ওই নির্দেশনায় মন্ত্রণালয়গুলোকে ত্রাণ বা অনুদান না দেওয়ার জন্যও বলা হয়েছে। বলা হয়েছে- প্রার্থী বা অন্য কোনো ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট পৌরসভায় নতুন করে কোনো প্রকল্প গ্রহণ বা অনুমোদন দেওয়া বা অর্থ ছাড় করতে পারবেন না। বন্ধ রাখতে হবে ভিজিডি (ভালনারেবল গ্রুপ ডেভেলপমেন্ট) কার্ড প্রদান কার্যক্রম।

এদিকে, জরুরি ক্ষেত্রে ত্রাণ বা অনুদান দিতে হলে নির্বাচন কমিশনের সম্মতিক্রমে জেলা প্রশাসক বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বিতরণ কার্যক্রম চালানো যাবে।

অন্যদিকে, সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার কোনো প্রার্থী পৌরসভার কোনো প্রকার সম্পত্তি, অফিস, যানবাহন, মোবাইল ফোন, টেলিফোন, ওয়াকিটকি বা কোনো সুযোগ সুবিধা নির্বাচনী কাজে ব্যবহার করতে পারবেন না। ব্যবহার করা যাবে না পৌরসভার কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারিকেও। কোনো প্রার্থী সংশ্লিষ্ট পৌরসভার কোনো দরপত্র আহ্বান, গ্রহণ কিংবা বাতিলের বিষয়েও সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না।

এছাড়া নির্বাচন পূর্ব সময়ে কোনো সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের রাজস্ব বা উন্নয়ন তহবিলভুক্ত কোনো প্রকল্পের অনুমোদন, ঘোষণা বা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন কিংবা ফলক উন্মোচন করা যাবে না। কোনো সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সরকারি বা আধা-সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের তহবিল থেকে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী/প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে কোনো প্রকার অনুদান ঘোষণা কিংবা বরাদ্দ দিয়ে অর্থ অবমুক্ত করতে পারবেন না।

এ বিষয়ে রাজীব আহসান বাংলানিউজকে বলেন, কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে কেউ যেন প্রকাশ্যে বা গোপনেও চাঁদা, অনুদান প্রদান করতে না পারে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতেই চার মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ার‌ম্যানকেও এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

নির্বাচন আচরণবিধিতে সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বলতে- প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, মন্ত্রী, চিফ হুইপ, বিরোধীদলীয় নেতা, সংসদ উপনেতা, প্রতিমন্ত্রী, হুইপ, উপমন্ত্রী বা তাদের সমমর্যাদার কোনো ব্যক্তি, সংসদ সদস্য (এমপি) এবং সিটি করপোরেশনের মেয়রকে বোঝানো হয়েছে।

আগামী ৩০ ডিসেম্বর দেশের ২৩৫ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন। এবারই প্রথমবারের মতো দেশে কোনো স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। তবে কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে আগের মতোই নির্দলীয়ভাবে ভোটগ্রহণ করবে ইসি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৫
ইইউডি/আইএ

** প্রার্থী যেই হোক তার পক্ষেই অবস্থান নেবে ইসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।