ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

উচ্চ আদালতে মাতৃভাষা চালু করা উচিত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০১৫
উচ্চ আদালতে মাতৃভাষা চালু করা উচিত প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা

ঢাকা: উচ্চ আদালতের কার্যাবলীতে মাতৃভাষা প্রচলন করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা।

বৃহস্পতিবার (০৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ‘মাতৃভাষা ও দেশীয় সংস্কৃতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে দেশীয় সাংস্কৃতিক আইনজীবী পরিষদ।

প্রধান বিচারপতি বলেন, এখানে একটা কথা উঠেছে। মাতৃভাষায় আমাদের কার্যাবলী পরিচালিত হবে। এটি সত্যিই দরকার। এটি নিম্ন আদালতে চালু হয়েছে। আমি মনে করি, এটি আমাদের উচ্চ আদালতে চালু করা উচিত। আমাদের কয়েকজন বিচারপতি বাংলায় রায় লেখেন। আমিও চিন্তা করছি, দুই একটা রায় বাংলায় লিখবো।

প্রধান বিচারপতি আরো বলেন, দেশীয় সংস্কৃতি হচ্ছে একটি জাতির দীর্ঘদিনের জীবনাচরণের ভেতর দিয়ে যে মানবিক মূল্যবোধ সুন্দরের পথে, কল্যাণের পথে এগিয়ে চলে, তাই। সংস্কৃতি স্থবির নয়। এগিয়ে চলাই তার ধর্ম। তাই সংস্কৃতিকে কোনো নির্দিষ্ট ছকে বাঁধা কঠিন। সংস্কৃতির নিজস্ব স্বকীয়তা আছে। দেশ-কাল-জাতিভেদে এর রূপভেদ আছে। কিন্তু গুণভেদ নেই। সংস্কৃতির মূল কথা হল সুন্দরভাবে বেঁচে থাকা।
 
বর্তমানে আমরা দেশজ রীতি-নীতি ও মূল্যবোধকে বিসর্জন দিতে শুরু করেছি। আমাদের তরুণ সমাজ দেশীয় আবহাওয়ায় বিদেশি জীবনবোধকে গ্রহণ করে আত্মতৃপ্তি পাচ্ছে। পাশ্চাত্য সংস্কৃতির প্রভাবে আমরা ভুলতে বসেছি আমাদের ঐতিহ্য। আবহমানকাল ধরে লালিত আমাদের দেশীয় সংস্কৃতি। সে বিবেচনায় দেশীয় সাংস্কৃতিক আইনজীবী পরিষদের আজকের এ উদ্যোগ প্রশংসার দাবি রাখে।

‘আমাদের মনে রাখতে হবে, মাতৃভাষা ও দেশীয় সংস্কৃতির পারস্পরিক সম্পৃক্তি আমাদের জাতি গঠনে ও অতীত সংগ্রামে পাথেয় হয়েছে। আর সে কারণেই আমাদের মাতৃভাষা এবং দেশীয় সংস্কৃতিকে আমাদের ধারণ ও লালন করতে হবে। করতে হবে এর সৃজনশীল ও কার্যকর রূপান্তর’- বলেন প্রধান বিচারপতি।   

দেশীয় সাংস্কৃতিক আইনজীবী পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট গৌরাঙ্গ চন্দ্র করের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন অ্যার্টনি জেনারেল মাহবুবে আলম, বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুল বাসেত মজুমদার, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সাবেক আইনমন্ত্রী আব্দুল মতিন খসরু, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ড. বশির আহমেদ, বার কাউন্সিলের সদস্য অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৫
ইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।