ঢাকা: মধ্যরাত। প্রায় ৩০ ফুট উপরে গ্যাস-কাটার নিয়ে ব্যস্ত সিটি করপোরেশনের কয়েকজন কর্মী।
বৃহস্পতিবার (০৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে মহাখালীর রেলক্রসিং এলাকায় অবৈধ বিলবোর্ড উচ্ছেদ কাজে ব্যস্ত সময় পার করছিলেন ডিএনসিসি’র কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, তাদের মধ্যে কেউ বিলবোর্ডের সংযোগ কাটছেন, কেউ রেকার দিয়ে নামাচ্ছেন। উপস্থিত থেকে নির্দেশনা দিচ্ছেন করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ সময় উপস্থিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মহিউদ্দিন কবির।
ডিএনসিসি’র প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম ঘটনাস্থলে বাংলানিউজকে জানান, অবৈধ বিলবোর্ড উচ্ছেদ অভিযান শুরুর পর ৮০ শতাংশ উচ্ছেদ করা হয়েছে। বাকী যে বিলবোর্ড রয়েছে তা আগামী ৩০ ডিসেম্বরের উচ্ছেদ করা হবে।
উত্তরের মেয়র আনিসুল হক পরিচ্ছন্ন ঢাকা গড়তে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন। এজন্য তিনি বিলবোর্ড-ব্যানার-ফেস্টুন সরাতে নির্দেশও দিয়েছেন।
ঢাকা উত্তরে আর মাত্র দেড়শ’ থেকে দুইশ’ বিলবোর্ড থাকতে পারে জানিয়ে আমিনুল ইসলাম আরো বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে অবশ্যই শেষ করতে হবে, উচ্ছেদ শেষ করবো।
যত্রতত্র বিলবোর্ড টানিয়ে নগরীর বাসা-বাড়ির ছাদগুলো ভাগাড় বানিয়ে ফেলা হয়েছিলো বলে জানান ডিএনসিসি’র কর্মকর্তারা। নগরীর সৌন্দর্য ফেরাতে বাড়তি শ্রম ও অর্থ যাচ্ছে এনডিসিসি’র। প্রতিরাতেই চলছে এ অভিযান।
আমিনুল ইসলাম বলেন, অবৈধ বিলবোর্ড উচ্ছেদের পর সিটি করপোরেশন বিলবোর্ড টানানোর নির্দিষ্ট জায়গা করে দেবে। ভাড়া নিয়ে সে স্থানে অনুমতি সাপেক্ষে বিলবোর্ড লাগাতে হবে। আর যেখানে সেখানে বিলবোর্ড টানিয়ে সৌন্দর্য নষ্ট করা যাবে না।
ডিএনসিসি’র সম্পত্তি বিভাগের আরেকজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, উত্তরে এখনও প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বিলবোর্ড রয়ে গেছে। অভিযান চলছে। কিন্তু প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাবে অনেক সময় কাজ থেমে থাকে। একটি বিলবোর্ড নামাতে লাগে ২/৩ ঘণ্টা।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৫
এমআইএইচ/বিএস