কক্সবাজার: সপ্তম দফায় মায়ানমার থেকে ফেরত আসা ৪৮ বাংলাদেশির মধ্যে পাঁচ শিশু-কিশোরকে নিজ বাড়িতে পাঠানো হয় বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর)। শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) বাকি ৪৩ জন রওনা দিয়েছেন নিজ নিজ বাড়ির পথে।
ইমিগ্রেশন সংক্রান্ত কাজ ও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্র থেকে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহায়তায় সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তারা নিজ নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।
তবে, বাড়িতে রওনা দেওয়ার আগে জিজ্ঞাসাবাদে তথ্য দিয়েছেন পাচারকারীদের সম্পর্কে। তাদের দেওয়া তথ্যের মাধ্যমে কক্সবাজারসহ ১৮ জেলার ৮৬ মানবপাচারকারী দালালের পরিচয় সনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ফেরত আসা ব্যক্তিদের মধ্যে ১৩টি জেলার বাসিন্দা রয়েছে। এর মধ্যে কক্সবাজারের রয়েছেন ১৮ জন। এছাড়া, যশোরের ১১ জন, টাঙ্গাইলের চার জন, নারায়ণগঞ্জ ও কুষ্টিয়ার দুই, বগুড়া ও সিরাজগঞ্জের তিন, খুলনা, নোয়াখালী, নওগাঁ, কিশোরগঞ্জ ও গোপালগঞ্জের এক জন রয়েছেন।
ফেরত আসা ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে কক্সবাজারসহ ১৮ জেলার ৮৬ দালালের পরিচয় সনাক্ত করা হয়েছে। এসব দালালের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করা হচ্ছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফেরদৌস আহমদ বাংলানিউজকে বলেন, বুধবার দুপুরে ৪৮ জনকে বাংলাদেশের ঘুমধুম সীমান্তে ফেরত আনার পর দু’টি বাসে করে কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। এরপর ইমিগ্রেশন সংশ্লিষ্ট কাজ শেষে পাচার হওয়ার তথ্য সংগ্রহের জন্য পুলিশসহ গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে।
আইওএম’র ন্যাশনাল প্রোগাম অফিসার আসিফ মুনীর বাংলানিউজকে বলেন, ফেরত আসা ৪৮ জনের মধ্যে ৪৩ জনকে আইওএম’র সহায়তায় বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থায় করা হয়। এদের মধ্যে কক্সবাজারের ১৭ জনকে একটি বাসে করে শহরের বাস টার্মিনালে পৌঁছে দিয়ে বাড়ি পর্যন্ত যাওয়ার যাতায়ত খরচ দেওয়া হয়। এছাড়া ১২ জেলার অপর ২৬ জনকে কক্সবাজার বাস টার্মিনাল থেকে বাসে তুলে দিয়ে যাতায়ত খরচ হাতে দিয়ে বাড়ির উদ্দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে আদালতের নির্দেশে সপ্তম দফায় ফেরত আনা অপ্রাপ্ত বয়স্ক পাঁচ শিশু-কিশোরকেও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সহায়তায় বাড়ির উদ্দেশে পাঠানো হয়।
বুধবার দুপুরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের জিরো পয়েন্টের ‘বাংলাদেশ-মায়ানমার মৈত্রী সেতু’ দিয়ে ফেরত আনা হয় অভিবাসন প্রত্যাশী এ ৪৮ জনকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০১৫
এমজেড