ঢাকা: মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৬ বছর করা হলে নারী সমাজ মেনে নেবে না উল্লেখ করে মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট সালমা আলী বলেছেন, আইন হলেই আমরা আদালতে যাবো।
শনিবার (০৫ ডিসেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে নারী নির্যাতন বিষয়ক সেমিনারে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে বলবো, মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ বছর থেকে ১৬ বছর করা হলে নারী সমাজ কোনোমতেই মেনে নেবে না।
মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ বছর করা হলে সেটা নারীবান্ধব হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বিভিন্নভাবে নির্যাতিত নারীদের উদ্ধারে ট্রেনিং সেন্টারে পুলিশের প্রশিক্ষণ দিতে হবে বলে মনে করেন সালমা আলী।
তিনি বলেন, পুলিশ স্টেশনের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ কী থাকে- সে প্রশিক্ষণ এখনও হয় না। সারদা পুলিশ একাডেমি থেকে অন্য জায়গায় রেগুলার প্রশিক্ষণ হওয়া উচিত। রেসকিউ ও রেইড কীভাবে হবে- এগুলো প্রশিক্ষণে থাকতে হবে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিরাপদ জায়গায় নির্যাতিতকে পৌঁছাতে হবে বলেও আইন রয়েছে।
মানিকগঞ্জে বাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে নির্যাতন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পত্রিকায় যা আসে, বাস্তবে তার চেয়ে আরও বেশি। মামলা করে ভিকটিম এখন নিরাপদ বোধ করছেন না বলেও জানান তিনি।
ইউনাইটেড হাসপাতালে যৌন নির্যাতন তদন্তে যে কমিটি করা হয়েছে সেখানে বাইরে থেকে কাউকে না রাখার সমালোচনা করেন সালাম আলী।
তিনি বলেন, প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা থাকলে অপরাধ অনেক কম হয়। ঘরের ভেতর থেকে প্রতিরোধ আরম্ভ করতে হবে। প্রতিরোধ করলে কমে যাবে। এলাকাভিত্তিক প্রতিরোধ করতে হবে।
‘নারী ও শিশু নির্যাতন, হত্যা, অপহরণ-প্রতিকার এবং প্রতিরোধ’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে নারী ঐক্য পরিষদ।
আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রতিরোধের ওপর জোর দেন কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।
তিনি বলেন, সবই আইনের ঘাড়ে চাপাবো কেন? এককভাবে আরও মানুষকে দাঁড় করাতে পারি, প্রতিরোধের জায়গাটা আরও বড় হবে।
বাল্যবিবাহও নির্যাতনের জায়গা। বয়স হওয়ার আগেই বৈধভাবে ধর্ষণের শিকার হতে হয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
নারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি লুৎফুন্নেসা খান বিউটির সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশিষ্ট নারীনেত্রী এবং বিশিষ্টজনেরা অংশ নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৫
এএসএস/এমআইএইচ/এএসআর