ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

প্ল্যাটফর্মে বস্তা-বস্তা ডাক, ডিজিটালে চাপ কমছে

মাহমুদ মেনন, হেড অব নিউজ | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৫
প্ল্যাটফর্মে বস্তা-বস্তা ডাক, ডিজিটালে চাপ কমছে ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে: কমলাপুর রেলস্টেশন প্ল্যাটফর্মে মেইল পৌঁছানোর পর শুরু হয় তাদের কর্মযজ্ঞ। মেইল গার্ড, মেইল অপারেটর, মেইল ক্যারিয়ারদের সতর্ক দায়িত্বে কাজ চলে।

বস্তা-বস্তা মেইল আসে। দেশের এক জেলা থেকে অন্য জেলায় মেইল পৌঁছানোর জন্য তাদের বাছাই চলতে থাকে।

সকাল ৮টা নাগাদ মেইল ট্রেন পৌঁছায়। এরপর ঘণ্টাখানেক প্ল্যাটফর্মেই চলে বাছাইয়ের কাজ। প্রাথমিক বাছাই শেষে জেলাভিত্তিক মেইল আলাদা করে ট্রলি ভরে নিয়ে যাওয়া হয় স্টেশনের ডাকঘরে। সেখানে আবার চলে নতুন বণ্টন। কোনোটি উঠবে অন্য ট্রেনে, কোনোটি লঞ্চ বা কোনোটি তুলে দেওয়া হবে বাসে। ১২টা অব্দি এসব কাজ চলবে। এরপর শুরু হবে বণ্টন।

স্টেশনে যারা মেইল ক্যারিয়ার, তাদের দায়িত্ব ডাকঘরে মেইলগুলো পৌঁছে দেওয়া।

মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে কমলাপুর স্টেশনে এমনই কর্মযজ্ঞ বাংলানিউজের ক্যামেরাবন্দি হলো।

মেইল গার্ড আজিমুল ইসলাম সতর্কতার সঙ্গে তদারকি করছেন। মেইল অপারেটর রফিকুল ইসলাম (৬) মেইল বস্তাগুলোর নাম ও কোড নম্বর মিলিয়ে নথিভুক্ত করছেন কাগজে। কার্বন পেপার দিয়ে তার একাধিক কপি করছেন যেনো সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোতেও দেওয়া যায়।

কমলাপুর স্টেশনের ছয়জন রফিকুলের একজন জানালেন, এভাবেই অতি সতর্কতায় তাকে প্রতিদিন সকালে নথিভুক্ত করতে হয় মেইলের তথ্য। সামান্য ভুল মানেই বিরাট তেলেসমাতি। তাই সতর্ক থাকার বিকল্প নেই। কাজ থামিয়ে এর চেয়ে বেশি কথা বলতে চাইলেন না তিনি। পাছে আবার ভুল হয়ে যায়। কেননা তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই মেইলগুলো ডেলিভারি দেওয়া হবে।

মেইল গার্ড আজিমুল ইসলাম জানালেন, দেশের পাঁচটি স্থান থেকে মেইল ট্রেন আসে এসব মেইল নিয়ে। মেইল আসে চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, খুলনা ও রংপুর থেকে। প্রতিটি এলাকার সব মেইল সেখান থেকে চটের বস্তাভর্তি হয়ে আসে। এই বস্তাগুলো ডাক বিভাগের জন্যই বিশেষভাবে তৈরি।

‘প্রতিটি বস্তার ওপর থাকে ডাক বিভাগের সিল। বস্তাবন্দি এসব মেইল প্রাথমিক বিন্যাসের কাজটি প্ল্যাটফর্মেই সেরে নেওয়া হয়। মেইলের ভলিউম বুঝে ২০ থেকে ২৫ জন কর্মী এখানে কাজ করেন। তারা মেইল ক্যারিয়ার। তাদের মধ্যে কেউ কেউ ট্রলিতে মেইলের বস্তা তুলে নিয়ে যান স্টেশনের ডাকঘরে। ’

আজিমুল ইসলাম আরও জানান, এখন ব্যক্তিগত মেইল খুবই কম আসে। অধিকাংশ ডাকই সরকারি নথিপত্রের। এ কারণে তাদের সতর্কতাও অনেক বেশি।

এভাবে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে আর বেশিদিন তাদের হিসাব রাখতে হবে না। এরই মধ্যে কম্পিউটার পদ্ধতিতে মেইলগুলো নথিভুক্ত হতে শুরু করেছে। তাতে চাপ অনেকটা কমেছে। শিগগিরই হয়তো ম্যানুয়াল পদ্ধতিও উঠে যাবে প্রত্যাশা রফিকুল ইসলামের।

** সাড়ে ৩ ঘণ্টা বিলম্বের কথা জানতেও দেড় ঘণ্টা বিলম্ব

বাংলাদেশ সময়: ১০০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৫
এসএস/এমএমকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।