ঢাকা: যেকোনো দলের মিটিং-মিছিল ঢাকাবাসীর কাছে এক ধরনের আতঙ্কের নাম। এই মিটিং-মিছিল সাধারণ জনগণের কাছে হয়রানির নামও বটে।
সোমবার (০৪ জানুয়ারি) দুপুরে তিনি বের হয়েছিলেন মতিঝিল যাবেন বলে। কিন্তু গাড়ি মৎস্যভবন পৌঁছানোর পর যেনো আর যেতেই চায় না।
শুভ জানান, প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে বসে ছিলেন মৎস্যভবনে। আগে যদি জানতেন তাহলে আজ বেরই হতেন না।
শুধু শুভ নন, তার মতো অনেকেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে ছিলেন অবর্ণনীয় যানজটে। যানজট ঢাকাবাসীর কাছে নতুন কিছু নয়। তারপরও সোমবারের যানজট ছিলো অবর্ণনীয়। পল্টন মোড় থেকে প্রেসক্লাব, মতিঝিল, গুলিস্থান, শাহবাগ, ফার্মগেট-মহাখালী থেকে একেবারে বনানী পর্যন্ত সড়কের যানবাহনগুলো ছিলো একেবারে অনড়।
রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতে এভাবে যানবাহন আটকে থাকায় ভোগান্তি আর দুর্ভোগে পড়েন গন্তব্য অভিমুখী যাত্রীরা। ভোগান্তিতে পড়া এসব যাত্রীদের অভিযোগ, রাস্তা জুড়ে ছাত্রলীগের শোভাযাত্রার কারণেই এ অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে তাদের।
একাধিক যাত্রী জানান, এমনিতেই এক কিলোমিটার রাস্তা পার হতে ঘণ্টার বেশি সময় লেগে যায়। আজ লাগছে এর তিনগুণ।
তারা (ছাত্রলীগ) মিছিল-মিটিংসহ দলীয় কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে সাধারণ মানুষকে কেন হয়রানিতে ফেলছেন, প্রশ্ন রাখেন বাসের যাত্রীরা।
রাজধানীর বিভিন্ন প্রধান সড়ক থেকে বাংলানিউজের প্রতিবেদকদের পাঠানো তথ্যে এ অবর্ণনীয় দুর্ভোগের চিত্র ওঠে এসেছে। ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এমন কর্মসূচির সমালোচনা করেছেন অনেকেই।
প্রতিবেদকরা জানান, দুপুর ১২টার পর থেকে শাহবাগ ও মৎস্য ভবন এলাকায় পা ফেলার জায়গা ছিলো না। আধ কিলোমিটার রাস্তা পার হতে ঘণ্টার বেশি সময় ব্যয় করতে হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই এলাকার যানজটের প্রভাব শহরের অন্য সড়কেও পড়েছে। দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আওয়ামী লীগের মূল কার্যালয় হয়ে গুলিস্তানের দিকে একটি শোভাযাত্রা বের হয়। এরপরই ভয়াবহ রূপ ধারণ করে যানজট।
এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে ছাত্রলীগের মিছিলও যানজটের অন্যতম কারণ হিসেবে অভিযোগ করেন অনেকে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৬
একে/আরএইচএস/এসএস