ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সাভার শাখায় দুদকের তদন্ত শুরু

সাভার করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৭, ২০১৬
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সাভার শাখায় দুদকের তদন্ত শুরু ছবি : বাংলানিউজটোয়েটিফোর.কম

সাভার(ঢাকা): বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সাভার শাখা থেকে প্রায় ৬৪ কোটি টাকা লোপাটের ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থার উপ-পরিচালক এস এম রফিকুল ইসলামকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পরিচালক মো. বেলাল হোসেনকে তদারককারী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

দুদকের একটি সূত্র গণমাধ্যমকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।

এ ঘটনায় ২০১৫ সালের ২৩ নভেম্বর কৃষি ব্যাংকের মুখ্য কর্মকর্তা মো. শাহ আলম সাভার মডেল থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় ব্যাংকটির সাময়িক বরখাস্ত হওয়া মুখ্য কর্মকর্তা মো. আবুল হোসেন, সাভার শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক (সাময়িক বরখাস্তকৃত) মাফতুন আহমদ, সাবেক ব্যবস্থাপক (সাময়িক বরখাস্তকৃত) বীরেন দাস এবং ব্যাংকের দুই গ্রাহক মনো প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজের স্বত্ত্বাধিকারী এ কে এম এ বাশার ও মিসেস হোসনে আরাকে আসামি করা হয়।

এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ব্যাক টু ব্যাক এলসির বিপরীতে ১৫৭টি ডেবিট অ্যাডভাইসের বিপরীতে ফান্ডেড, নন-ফান্ডেড মিলিয়ে মোট ৬৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা তুলে আত্মসাৎ করেন।

এজাহারে বলা হয়, কৃষি ব্যাংকের জোনাল কার্যালয় থেকে ১৯৯০ সালের ১০ জুলাই এ কে এম এ বাশার ও হোসনে আরা তাঁদের মালিকানাধীন মনো প্যাকেজিংয়ের জন্য পাঁচ লাখ টাকা ঋণ নেন। ওই ঋণ বিধি মোতাবেক পরিশোধ করায় ২০১০ সালের ২১ জুন তাঁদের আবেদনের পরিপ্রক্ষিতে বন্ধকী সম্পদের বিপরীতে ৬ কোটি টাকা ঋণ দেয় কৃষি ব্যাংকের সাভার শাখা। পরে সাভার শাখার প্রস্তাবে পণ্য বন্ধকী বাবদ মঞ্জুরীকৃত দুই কোটি টাকার বিপরীতে কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য বিভাগে মাদার এলসি খোলে মনো প্যাকেজিং।

এরপর বেশ কয়েক ধাপে ও ব্যাক টু ব্যাক এলসির মাধ্যমে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ফান্ডেড ও নন-ফান্ডেড মিলিয়ে ১৫৭টি ডেবিট অ্যাডভাইসের সমপরিমাণ মোট ৪৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা উত্তোলন ও আত্মসাৎ করেন।

২০১৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সুদাসলে ওই টাকার পরিমাণ দাঁড়ায় ৬৩ কোটি ৪৩ টাকা হয়। অনিয়মের মাধ্যমে ওই পরিমাণ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ব্যাংকটির বিভাগীয় তদন্তে প্রমাণ হওয়ায় মামলা করার সিদ্ধান্ত নেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। সে অনুযায়ী ২০১৫ সালের ২৩ নভেম্বর ব্যাংক কর্তৃপক্ষ মামলাটি করে। মামলাটি তদন্তের জন্য দুদকে পাঠানো হলে তা আমলে নিয়ে ২৮ ডিসেম্বর এ ব্যাপারে তদন্তের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭,২০১৬
আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।