ঢাকা: ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলো মানবাধিকার রক্ষার নামে প্রতারকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। এ কারণেই বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার লঙ্ঘনের ভয়াবহ অবস্থা তৈরি হয়েছে।
শনিবার (০৯ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে অ্যাসোসিয়েশন ফর ল’ রিসার্চ অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস (এলার্ট) আয়োজিত এক গোল টেবিল বৈঠকে এমন অভিমত দেন বক্তারা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান বিচারপতি আমিরুল কবীর চৌধুরী। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এলার্ট’র সভাপতি ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জাহাঙ্গীর আলম খান।
স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ড. সৈয়দা বদরুন নাহার চৌধুরী, কর্নেল (অব.) জেডআরএম আশরাফ উদ্দিন, লে. জেনারেল (অব.) এটিএম জহিরুল আলম প্রমুখ বৈঠকে বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মানবাধিকার লঙ্ঘনজনিত পরিস্থিতি বর্তমানে সবচেয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। মধ্যপ্রাচ্যে আড়াই লাখ লোক নিহত হয়েছে, এক কোটি মানুষ গৃহহীন হয়ে শরণার্থী অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছে। মুসলিমদের নিয়েও চলছে পশ্চিমা দেশগুলোর নানা ষড়যন্ত্র। অস্ত্র তৈরিকারক দেশগুলো অস্ত্র ব্যবসা চালু রাখতে যুদ্ধক্ষেত্র তৈরি করছে।
এতে করে তারা অস্ত্র বিক্রি করে বিপুল অর্থ আয়, যুদ্ধবিধ্বস্ত মধ্যপ্রচ্যের দেশগুলো থেকে সস্তায় তেল কেনা, ইসরাইল ও পশ্চিমাদের ভবিষ্যত শত্রু শক্তিশালী মুসলিম দেশগুলোকে ধ্বংস করা এবং বিশ্ব নেতৃত্ব ধরে রাখছে।
এমন পরিস্থিতি মোকাবেলায় জাতিসংঘের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে এসব পরিকল্পিত যুদ্ধ অবসানে এগিয়ে আসতে হবে।
আন্তর্জাতিক রাজনীতির ষড়যন্ত্র হিসেবে বাংলাদেশে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) অস্তিত্ব প্রমাণের চেষ্টা করা হচ্ছে উল্লেখ করে তারা বলেন, এই ফাঁদে পা দিলে সবচেয়ে বড় ভুল করা হবে। তাই জনগণকে সম্পূর্ণ সচেতন থাকতে হবে, যাতে কোনো অবস্থায় দেশে জঙ্গিবাদ বা কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে না পারে এবং সাম্রাজ্যবাদীরা সুযোগ নিতে না পারে।
বাংলাদেশেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে অভিযোগ করে বক্তারা বলেন, দেশ থেকেই মানবাধিকার চর্চা শুরু করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৬ আপডেট সময়: ১৮৩৩ ঘণ্টা.
এমআইএইচ/জেপি/এটি