নাটোর থেকে ফিরে: নাটোর শহর থেকে ১০ কিলোমিটার পথ পেরোলেই শেষ হয়ে আসে পথের দু’পাশের বাজার আর বাগান। এরপর দু’পাশে যতদূর চোখ যায় বিল।
বিলের জোড় মল্লিকা নিংগাইন গ্রামে রাস্তার পাড়েই শুটকির ঘের।
বেলা ১২টার দিকে ঘেরের জন্য বাজার থেকে পুঁটি মাছ কিনে এনেছেন ঘেরের মহাজন আজহার আলী। বড় দাড়িপাল্লায় ওজন মাপছেন তিনি। পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ মণ মাছ নিয়ে এসেছেন তিনি। একদিনে নিয়ে আসা হয় প্রায় ২০ থেকে ২৫ মণ মাছ।
এই ঘেরে বেশিরভাগই পুঁটি মাছের শুটকি করা হয়।
জমির ওপর মাঁচা করে কয়েকশো বর্গমিটার এলাকা জুড়ে শুটকি উৎপাদনের ঘের। এখানে পুরুষের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কাজ করেন নারীরাও। সব মিলিয়ে কর্মী সংখ্যা ২০ থেকে ২৫ জন।
নওগাঁর সৈয়দুল ইসলাম কাজ করেন এই ঘেরে। বলেন, এক চালান শুটকি শুকাতে তিন থেকে চার দিনের মতো সময় লাগে। এসব মাছে বাজার থেকেই লবণ দিয়ে আনা হয়।
এখানে শুটকি হওয়া সব মাছই চলনবিলের। পুঁটি ছাড়াও রয়েছে টেংরা, গুছি, বাতাসি, সাঠি, চান্দা, শোল ইত্যাদি। কোয়ালিটি বুঝে কেজি প্রতি ৫০ থেকে ৩শ ৫০ টাকায় বিক্রি হয় এসব মাছ।
রংপুর, নীলফামারি, রাজশাহীতে নিজেরাই গিয়ে বিক্রি করেন এসব মাছ।
ভাদ্র মাস থেকে শুরু হয় শুটকি শুকানোর প্রক্রিয়া। চলে চার মাস। এসময় ঘেরেই থাকা-খাওয়া। এরপর আবার নিজের গ্রামে ফিরে যান সৈয়দুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ০০১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৫
এমএন/এসএস