ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

যশোরে চুরির অপবাদে ছাত্রকে নির্যাতন, ২ শিক্ষক গ্রেফতার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৬
যশোরে চুরির অপবাদে ছাত্রকে নির্যাতন, ২ শিক্ষক গ্রেফতার আব্দুল কাদের

যশোর: যশোরের বাঘারপাড়ায় বাইসাইকেল চুরির অপবাদ দিয়ে আব্দুল কাদের (১৩) নামে কওমি মাদ্রাসার এক ছাত্রকে নির্মম নির্যাতন করেছে ওই মাদ্রাসার দুই শিক্ষক।

আব্দুল কাদের উপজেলার দারুল উলুম ছওতুল কোরআন মাদ্রাসার (কওমী) আবাসিক ছাত্র এবং উপজেলার দাদপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে।

বর্তমানে আব্দুল কাদের বাঘারপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

এ ঘটনায় নির্যাতিত ছাত্রের মা বাদী হয়ে রোববার (১০ জানুয়ারি) অভিযুক্ত ওই মাদ্রাসার সুপার এবং দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বাঘারপাড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছয়রুদ্দিন আহম্মেদ বাংলানিউজকে বলেন, ছাত্র নির্যাতনের ঘটনায় ওই মাদ্রাসার মকতব বিভাগের শিক্ষক আব্দুল গফ্ফার ও আসাদুজ্জামানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়াও মামলার আরেক আসামি ওই মাদ্রাসার সুপার সালাহউদ্দিন আহম্মেদকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, বাঘারপাড়া উপজেলার বন্দবিলা ইউনিয়নের খাজুরা বাজার এলাকার দারুল উলুম ছওতুল কোরআন মাদ্রাসা (কওমী) থেকে সম্প্রতি একটি বাইসাইকেল চুরি হয়।

এ ঘটনায় মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্র আব্দুল কাদেরকে সন্দেহ করে মাদ্রাসা সুপার সালাহউদ্দিন আহম্মেদ। একপর্যায়ে সুপারের নির্দেশে সাইকেল উদ্ধারের জন্য শনিবার (০৯ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে মাদ্রাসার মকতব বিভাগের শিক্ষক আব্দুল গফ্ফার ও আসাদুজ্জামান ছাত্র আব্দুল কাদেরকে একটি কক্ষে আটকে রেখে নির্যাতন শুরু করে।

প্রথমে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে তাকে স্বীকারোক্তি দিতে বলে। এতে রাজি না হলে নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেওয়া হয়। সাইকেল চুরির মিথ্যা স্বীকারোক্তি আদায় করতে তারা কাদেরের বুকে ‘প্লাস’ দিয়ে চেপে ধরে। একপর্যায়ে কাদের জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে শ্রেণি কক্ষে ফেলে রাখা হয়। ভোর ৪টার দিকে জ্ঞান ফিরলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৬
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।