ঢাকা: নানা ঘাত-প্রতিঘাত ও প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে আরও একটি বছর পার করে তৃতীয় বছরে পা রাখল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার। টানা দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসার পর সরকারের এক বছর পার হওয়ার আগেই বিরোধী রাজনৈতিক পক্ষের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী নাশকতা ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
একটা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসতে না আসতেই শুরু হয় আরেকটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতির। গুপ্তহত্যা, ব্লগার ও মুক্তমনা লেখক-প্রকাশকদের প্রকাশ্যে হত্যা, পুলিশ হত্যা, বিদেশি নাগরিক হত্যা, আশুরার সমাবেশে বোমা হামলা, মসজিদে হত্যাকাণ্ডসহ নানা ঘটনা মোকাবিলা করতে হয় সরকারকে। সেই সঙ্গে নানা ঘটনায় কখনও বিব্রতকর পরিস্থিতি, আবার কখনও চাপের মধ্যে পড়ে যায় এই সরকার।
এসব ঘটনার বাইরে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের অভ্যন্তরীণ কোন্দোলের জেরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাসহ নানা ঘটনার দায় বহন করতে হয় সরকারকে।
তারপরও প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকবিলা করে সামনের দিকেই এগিয়েছে সরকার। এ সময়ের মধ্যে অনেকগুলো সফলতাও এসেছে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সম্পর্কোন্নয়নে সফল হয়েছে সরকার। প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সীমান্ত চুক্তি কার্যকর, সে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঢাকা সফর এসব সফলতার স্বাক্ষর বহন করে। গত এক বছরে সবচেয়ে আলোচিত ঘটনাটি ছিলো তিন চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী বিএনপি নেতা সাকা চৌধুরী, জামায়াত নেতা আলী আহসান মুজাহিদ ও কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায় কার্যকর।
বিএনপির আন্দোলনকে কেন্দ্র করে নাশকতা
দ্বিতীয় বছরের শুরুর আগেই প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপির আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট নাশকতা নিয়ে বর্তমান সরকারকে পড়তে হয় কঠিন চাপের মধ্যে। গত বছর ৫ জানুয়ারি থেকে টানা ৯২ দিন হরতাল-অবরোধ চালিয়ে যায় বিএনপি-জামায়াতের ২০ দলীয় জোট। এসব কর্মসূচি শুরুতেই নাশকতা ও সহিংসতার রূপ নেয়। হরতাল-অবরোধ চলাকালে যানবাহনে পেট্রোল বোমা ছোড়া হয়। এতে দেড় শতাধিক মানুষ অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান। সহস্রাধিক মানুষ আহত হন। মানুষের মধ্যে ভয়-ভীতি ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খেতে হয় সরকারকে।
দলীয় নেতাকর্মীদের অপকর্ম
দলীয় নেতাকর্মীদের বিভিন্ন অপকর্মে প্রায়ই সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে। ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন ও দলীয় এমপিরা একের পর এক নানা ঘটনার জন্ম দিয়েছেন। এসব ঘটনার মধ্যে দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল, এলাকায় প্রভাব বিস্তার, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দখল, হত্যাকাণ্ড, মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাসী তৎপরতা উল্লেখযোগ্য। একটি ঘটনার রেষ কাটতে না কাটতেই আরেকটির জন্ম হয়েছে। সংরক্ষিত নারী আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি পিনু খানের ছেলে রাজধানীতে দুই শ্রমিককে গুলি করে হত্যা করেন। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার ঝড় ওঠে। গত ১০ জুন রাজধানীর শ্যামপুরে জোট শরিক জাতীয় পার্টির এমপি (ঢাকা-৪) আবু হোসেন বাবলার কার্যালয়ে হামলা, গুলি ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। আবু হোসেন বাবলা ও সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের এমপি সানজিদা খানমের সমর্থকদের মধ্যে দ্বন্দ্বের সূত্র ধরে এ ঘটনা ঘটে।
গত ১৪ মে টাঙ্গাইলে মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে এক শিক্ষার্থী নিহত ও দু’জন আহত হন। গত ১২ এপ্রিল কুমিল্লায় ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে শহর ছাত্রলীগের সভাপতি নিহত হন। হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত হন দু’জন।
কক্সবাজার-৪ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী তৎপরতা, মাদক ব্যবসা, মানবপাচারসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের এমপি মনজুরুল ইসলাম লিটনের ছোড়া গুলিতে শিশু আহত হওয়ার ঘটনায় সারাদেশে ব্যাপক তোলপাড় ওঠে।
বাড্ডায় ঝুট ব্যবসা নিয়ে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের তিন নেতা হত্যা, জাতীয় শোক দিবসের দিন কুষ্টিয়ায় এক যুবলীগ নেতাকে হত্যা, চাঁদপুরের কচুয়ায় চাঁদার দাবিতে স্কুলের শিক্ষক ও ছাত্রীদের ওপর যুবলীগের হামলা, হাজারীবাগে ছাত্রলীগ নেতার এক কিশোরকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। মাগুরায় ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে একজন নিহত ও মায়ের পেটে শিশু গুলিবিদ্ধ হওয়ার মতো ঘটনাও ঘটে। একের পর এক এসব ঘটনায় সরকার একটা পর্যায়ে কঠোর হয়। এরপর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা যান কয়েকজন।
সীমান্ত সমস্যার সমাধান
ভারতের সঙ্গে দীর্ঘদিন ঝুলে থাকা সীমান্ত সমস্যার সমাধান হয় গেল বছর। ভারতের পার্লামেন্টে (লোকসভা) সীমান্ত বিল পাশ হওয়ার মধ্য দিয়ে এ সমস্যার অবসান ঘটে। এটি ছিল আওয়ামী লীগ সরকারের বড় ধরণের কুটনৈতিক সাফল্য। ৭ মে ভারতের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে পাস হয় ঐতিহাসিক স্থল সীমান্ত চুক্তি বিল (১১৯ তম সংবিধান সংশোধনী বিল-২০১৩)। এর আগের দিন ৬ মে উচ্চকক্ষেও (রাজ্যসভা) বিলটি পাস হয়। ৫ মে বিলটি দেশটির মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পায়।
এ সফলতা অর্জনে দেশের পাশাপাশি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও সরকারও রাজনৈতিকভাবে লাভবান হয়েছে।
মোদীর ঢাকা সফর
গত বছর ৬ জুন ঢাকায় সফরে আসেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার এ সফর ছিলো বহুল আলোচিত। এ সফর সরকার ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জন্য ছিলো অত্যন্ত ইতিবাচক। এর মধ্য দিয়ে বর্তমান সরকারের প্রতি ভারতের আকুণ্ঠ সমর্থনের আবারও বহিঃপ্রকাশ ঘটে।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ টানা দ্বিতীয় বারের মতো ক্ষমতায় আসে। এর পরপরই ভারতে ক্ষমতার পালা বদল হয়। সাধারণ নির্বাচনে তৎকালীন ক্ষমতাসীন কংগ্রেস পরাজিত হয়। ক্ষমতায় আসে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। নতুন সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা ও গুঞ্জন চলতে থাকে। ক্ষমতায় আসার এক বছর পর মোদীর ঢাকা সফরের মধ্য দিয়ে সেই জল্পনা, কল্পনা ও গুঞ্জনের অবসান ঘটে।
ত্রাণমন্ত্রী ও খাদ্যমন্ত্রী নিয়ে সমালোচনার ঝড়
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার মন্ত্রীত্ব থাকা, না থাকা নিয়ে শুরু হয় নানা বিতর্ক। ২০০৮ সালে জ্ঞাত আয়ের বাইরে অবৈধভাবে ছয় কোটির বেশি টাকার সম্পদ অর্জনের মামলায় ১৩ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন তিনি। ২০১০ সালের অক্টোবর মাসে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ ওই রায় বাতিল করেন। দুদক এর বিরুদ্ধে আপিল করে। গত ১৪ জুন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বাতিল করে আপিলের পুনঃশুনানির নির্দেশ দেন। এই ঘটনার মধ্য দিয়ে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার মন্ত্রীত্ব থাকা, না থাকা নিয়ে শুরু হয় নানা আলোচনা-সমালোচনার। বিষয়টি সরকার ও আওয়ামী লীগকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে।
এদিকে, একই সময় সরকার ফের বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামকে ঘিরে সৃষ্ট আলোচনা-সমালোচনায়। পচা গম কেনার অভিযোগ উঠে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে। ব্রাজিল থেকে কেনা গম পচা এবং খাওয়ার অযোগ্য বলে অভিযোগ ওঠে। এ গম কেনার পেছনে অভিযোগ ওঠে দুনীতিরও। এ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে চলে তোলপাড়।
বিদেশি হত্যাকাণ্ড
গত বছর ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার গুলশানে ইতালীয় ত্রাণকর্মী তাবেলা সিজারকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এর কয়েক দিনের মাথায় রংপুরে জাপানি নাগরিক কুনিও হোশিকেও একইভাবে হত্যা করা হয়। এসব হত্যকাণ্ডের ঘটনায় আন্তর্জাতিকভাবে নানা চাপের মধ্যে পড়ে সরকার। জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) এসব হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে দাবি করে বার্তা দিয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জঙ্গি তৎপরতা পর্যবেক্ষণকারী ‘সাইট ইন্টিলিজেন্স গ্রুপ’ জানায়। প্রভাবশালী কিছু দেশ থেকে বাংলাদেশে তাদের নাগরিকদের জন্য সর্তকতা জারি করা হয়। অষ্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট দল বাংলাদেশ সফর বাতিল করে। সার্বিক বিষয়গুলো সরকারের জন্য অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে।
ব্লগার হত্যা
প্রায় বছর জুড়েই ব্লগার, মুক্তমনা লেখক ও প্রকাশক হত্যাকাণ্ড ঘটে। থেমে থেমে আকস্মিকভাবে এসব হত্যাকাণ্ডে সরকারকে বেকায়দায় পড়তে হয়। এসবের কোনো কুলকিনারা এখনও হয়নি। তবে হত্যার সঙ্গে যুক্ত থাকার সন্দেহে কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে বইমেলা থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি এলাকায় জঙ্গিদের হাতে প্রকাশ্যে নিহত হন ব্লগার ও বিজ্ঞান বিষয়ক লেখক অভিজিৎ রায়। এসময় তার স্ত্রীও গুরুতর আহত হন। ৩০ মার্চ তেজগাঁওয়ে অপর ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান বাবুকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ১২ মে সিলেটে অন্তত বিজয় দাশকে একইভাবে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ৭ আগস্ট খিলগাঁওয়ে বাসায় ঢুকে নিলয় নীলকে হত্যা করা হয়। ৩১ অক্টোবর প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। একই দিন আরও দু’জন প্রকাশককে হত্যার চেষ্টা করা হয়। তারা প্রাণে বেঁচে গেলেও গুরুতর আহত হন। শুধু এসব ঘটনায়ই নয়, গুপ্ত হামলা চালিয়ে পুলিশ হত্যাসহ আশুরার তাজিয়া মিছিলে বোমা হামলারও ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকারকে বেশ বেগ পেতে হয়।
সাকা-মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর
চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী বিএনপি নেতা সাকা চৌধুরী ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মুজাহিদের ফাঁসির রায় কার্যকর করা সরকারের জন্য এক ধরণের চ্যালেঞ্জ ছিল। ২১ নভেম্বর এই রায় কার্যকর করা হয়। রায় কার্যকরকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী সহিংসতা ও নাশকতার আশঙ্কা করেছিল সরকার। দেশে বড় ধরণের বিশৃঙ্খলা ঘটানোর পরিকল্পনার তথ্যও সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার কাছে ছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাড়তি সর্তকতা ও প্রস্তুতিও নেওয়া হয়। তবে দৃঢ় পদক্ষেপের ফলে কোনো ধরণের নাশকতার ঘটনা ঘটেনি। গত বছরের ১১ এপ্রিল জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কামারুজ্জামানের ফাঁসিও কার্যকর করা হয়।
পদ্মা সেতুর কাজ উদ্বোধন
গত ১২ ডিসেম্বর উদ্বোধন করা হয় বহুল প্রতিক্ষিত পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ। যদিও ইতোমধ্যে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে এবং ৩০ শতাংশ কাজ এগিয়ে গেছে। এই সেতু নির্মাণ কাজ শুরু করা সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর পদ্মাসেতু নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু করে। এ নিয়ে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে শুরুতেই জটিলতার সৃষ্টি হয়। অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি প্রত্যাহার করে নেয় বিশ্বব্যাংক। একটা পর্যায়ে সরকার নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণের ঘোষণা দেয়। প্রায় ২৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সেতু নির্মাণের তিন বছর সময় নির্ধারণ করে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুর নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন।
চ্যাম্পিয়নস অব দ্য আর্থ
জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় সরকারের সফলতার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘চ্যাম্পিয়নস অব দ্য আর্থ’ পুরস্কারে ভুষিত হন। বিরূপ প্রকৃতির বিরুদ্ধে এ দেশের মানুষের টিকে থাকা ও ঘুরে দাঁড়ানোর শক্তি-সহিষ্ণুতা এখন বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। প্রধানমন্ত্রীর ‘চ্যাম্পিয়নস অব দ্য আর্থ’ সম্মাননা পাওয়ার মধ্য দিয়ে এ স্বীকৃতি অর্জিত হয়েছে। গত ২৮ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন চলাকালে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ও জাতিসংঘ পরিবেশ–বিষয়ক কর্মসূচির নির্বাহী পরিচালক এখিম স্টেইনারের হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এই সময়ই তথ্যপ্রযুক্তিতে অগ্রগতির স্বীকৃতি হিসেবে আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ সংস্থার (আইটিইউ) ‘আইসিটি টেকসই উন্নয়ন পুরস্কার’ গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী। ২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সদর দপ্তরে তার হাতে ‘আইসিটি টেকসই উন্নয়ন পুরস্কার’ তুলে দেন আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের মহাসচিব হুলিন ঝাও।
বাংলাদেশ সময়: ০২০০ ঘন্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৫
এসকে/আরএইচ