ঢাকা: বেসিক ব্যাংকের দুই হাজার কোটি টাকা ঋণ কেলেঙ্কারির মামলায় গ্রেফতারকৃত ব্যাংকের অপসারিত তিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। তাদের রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষ হয়েছে।
আসামিরা হলেন, বেসিক ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) ফজলুস সোবহান ও মো. সেলিম এবং ব্যাংকের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) শিপার আহমেদ। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এ তিন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে। তাদের মধ্যে ফজলুস সোবহান দুদকের দায়ের করা গুলশান থানার ৫৯ ও মতিঝিল থানার ৪৩ নম্বর দুই মামলারই আসামি। মো. সেলিম মতিঝিল ও শিপার আহমেদ গুলশান থানার মামলার আসামি।
সোমবার (১১ জানুয়ারি) সকালে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. খসরুজ্জামানের আদালতে তাদের রিমান্ড ও জামিনের আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। তিন আসামির পক্ষে রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আবেদন জানিয়ে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান, অ্যাডভোকেট শেখ হেমায়েত হোসেন ও অ্যাডভোকেট আওলাদ হোসেন খান।
অন্যদিকে রিমান্ডের আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর। শুনানি শেষে জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের বিষয়ে দুপুরে আদেশ দেবেন বলে জানিয়েছেন আদালত।
গত বৃহস্পতিবার (০৭ জানুয়ারি) দুপুরে ওই তিনজনকে গ্রেফতার করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বিকেলে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে ফজলুস সোবহানের দুই মামলায় সাতদিন করে মোট ১৪ দিন এবং অন্য দু’জনের এক মামলায় সাতদিন করে রিমান্ডের আবেদন জানান মামলা দু’টির তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক ঋত্মিক সাহা ও মোহাম্মদ ইব্রাহিম।
সেদিন সোমবার রিমান্ডের আবেদনের শুনানির দিন ধার্য করে গ্রেফতারকৃতদের কারাগারে পাঠিয়ে দেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কায়সারুল ইসলামের আদালত।
এর আগে দুপুর ২টায় রাজধানীর মতিঝিল সেনা কল্যাণ ভবনের সামনে থেকে তাদের গ্রেফতার করে দুদক। গ্রেফতারের পর দুদকের উপ-পরিচালক ঋত্মিক সাহার নেতৃত্বে একটি টিম তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারির ঘটনায় ব্যাংকটির সাবেক এমডি কাজী ফখরুল ইসলামসহ ৫৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৫
এমআই/এএসআর