ঢাকা: ৮ বছর ধরে যৌনকর্মীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ ও এইডস প্রতিরোধের লক্ষ্যে ১১ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্প চলমান আছে। হঠাৎ করে এ প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সোমবার (১১ জানুয়ারি) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির গার্ডেন কনফারেন্স লাউঞ্জে সংবাদ সম্মেলনে এ হুশিয়ারি দেওয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে যৌনকর্মীদের সংগঠন দুর্জয় নারী সংঘের ব্যানারে শতাধিক নারী উপস্থিত ছিলেন।
সংগঠনের সভাপতি রহিমা বেগম বলেন, দুর্জয় নারী সংঘ বর্তমানে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে যা আগামী ৩১ জানুয়ারি শেষ হওয়ার কথা। এ প্রকল্পে সারাদেশে ২০টি ড্রপ-ইন সেন্টার পরিচালিত হচ্ছে। আমরা যৌনকর্মীদের নানা সেবা দিয়ে যাচ্ছি, যাতে করে যৌনকর্মীরা এইচআইভিতে আক্রান্ত না হন এবং এইডস না ছড়িয়ে পড়ে। নারী সংঘ গত ৮ বছর সফলভাবে কাজটি করে যাচ্ছি। আমাদের পক্ষেই কেবল সম্ভব সবচেয়ে কম খরচে পরবর্তীতে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা।
তিনি আরও বলেন, এ প্রকল্পে সব মিলিয়ে ৫০২ জন সাবেক নারী যৌনকর্মী রয়েছেন যারা অন্য পেশায় কর্মরত আছেন। প্রকল্পটি চালু না থাকলে আগামী ৩১ জানুয়ারির পর আবার তারা সেই যৌন পেশায় ফিরে যাবেন।
তিনি আরও বলেন, প্রকল্পটি আমরা বাস্তবায়ন করলে এইডস ছড়াবে না। এমনকি যারা যৌন পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় যেতে চান, সে সুযোগ করে দেওয়া হবে। আর যদি আমাদের বাদ দিয়ে প্রকল্পটি ‘লাইট হাউজ’ নামক সংগঠনকে দেওয়া হয়, তবে আমাদের মেয়েরা আবারও যৌন পেশায় ফিরে যাবেন।
তিনি আরও বলেন, এ প্রকল্পে ১৪ হাজারের বেশি নারী যৌনকর্মী এইচআইভি প্রতিরোধসহ নানা সেবা পাচ্ছেন। অথচ এটি বাতিল করা হলে এর বিরুপ প্রতিক্রিয়া সমাজে পড়বে। ৮ বছর ধরে দুর্জয় নারী সংঘ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। তারাই যেন এটি বাস্তবায়ন করে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ২৯টি নারী সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত সেক্স ওয়ার্কার্স নেটওয়ার্ক অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক চুমকি বেগম।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৬
এমআইএস/এএসআর