রাজশাহী: রাজশাহীতে অপহরণকারী চক্রের ৫ সদস্যকে আটক করেছে ৠাপিট অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন ৠাব-৫ এর সদস্যরা। এ সময় আনিছুর রহমান নামের এক অপহৃত ছাত্রকে উদ্ধার করা হয়।
সোমবার (১১ জানুয়ারি) বেলা পৌনে ২টার দিকে মহানগরীর মতিহার থানার সমসাধিপুর এলাকা থেকে অপহরণকারীদের আটক করা হয়। পরে সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
উদ্ধারকৃত শিক্ষার্থী আনিছুর রাজশাহী পলিটেনিক ইনস্টিটিউটের ষষ্ঠ পর্বের ছাত্র এবং নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার আব্দুল হান্নানের ছেলে।
আটককৃত অপহরণকারীরা হলেন- রাজশাহী মহানগরীর বড়বনগ্রাম চকপাড়া এলাকার আব্দুল গফুরের মেয়ে লিমা (১৮), তার ভাই সোহাগ (২০), তার মা লতিফা বেগম (৪৫) এবং সমসাধিপুর এলাকার মৃত আব্দুল মন্ডলের ছেলে বাদশা (৫২) ও লিটন আলী (৩৭)।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রোববার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে আনিছুর রহমান মহানগরীর আমচত্বর (নওদাপাড়া) থেকে বের হয়ে ছাত্রাবাসে ফিরছিলেন। পরে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
এদিকে, তার পরিবারের সদস্যরা অনেক খোঁজ করে কোনো সন্ধান না পেয়ে রোববার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে অপহৃতের বাবা আব্দুল হান্নানকে ফোন করে জানানো হয়, তার ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে।
এসময় ওই ব্যক্তি অপহৃত আনিছুরের বাবার কাছে এক লাখ ৮০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অন্যথায় তার ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়।
ওইদিন সন্ধ্যায় আব্দুল হান্নান রাজশাহী ৠাব-৫, রাজশাহীর অধিনায়ক বরাবর একটি অভিযোগ দাখিল করেন।
এরপর থেকেই ৠাব সদস্যরা অপহৃতকে উদ্ধার এবং আসামিদের গ্রেফতারের জন্য গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করেন।
এরই প্রেক্ষিতে সোমবার দুপুরে ৠাব-৫, রাজশাহীর একটি বিশেষ অপারেশন দল মহানগরীর বড়বনগ্রাম (চকপাড়া) এলাকা থেকে সোহাগ ও লতিফা বেগম নামের দুই অপহরণকারীকে আটক করে। পরে তাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে মহানগরীর সমসাধিপুর এলাকা থেকে অপহরণের মূলহোতা লিমাসহ বাদশা ও লিটন আলীকে আটক করা হয়। এরপর তাদের জিম্মা থেকে ভিকটিম’কে উদ্ধার করা হয়।
বর্তমানে আটকদের ৠাব-৫, রাজশাহীর সদর দফতরে জিঙ্গাসাবাদ করা হচ্ছে। পরবর্তীতে তাদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে জানানো হয় ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৬
এসএস/বিএস