ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের টিএ রোডে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলছে জামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার ছাত্র ও ছাত্রলীগ কর্মীদের সংঘর্ষ। সোমবার (১১ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টায় প্রতিবেদনটি লেখা পর্যন্ত সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে জেলা শহর।
মাদ্রাসা ছাত্রদের ইটপাটকেল, ছাত্রলীগ নেতাদের ককটেল হামলা ও পুলিশের রাবার বুলেট ছোঁড়ার শব্দে প্রকম্পিত হয়ে উঠছে শহর। সংঘর্ষে ব্রাক্ষণবাড়িয়া সদর থানার সহকারী পুলিশ সুপার তাপস রঞ্জন ঘোষ ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকুল চন্দ্র বিশ্বাসসহ ২০ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। এরমধ্যে কনস্টেবল রাজিব গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় কয়েকজন সংবাদকর্মীসহ আরও ২০ জনের মতো লোক অাহত হয়েছে।
বিকেলে জেলা পরিষদ মার্কেট থেকে মোবাইল ফোন কেনা নিয়ে তর্কের জের ধরে মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রথমে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। পরে ছাত্রলীগ কর্মীরা মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করলে সংঘর্ষ ত্রিমুখী রূপ নেয়। এসময় মুহুর্মূহু ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটতে থাকে।
সংঘর্ষ চলাকালে শহরের টিএ রোড, কান্দিপাড়া মাদ্রাসা রোডের সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। অাতঙ্কে লোকজন দিগ্বিদিক ছোটাছুটি শুরু করে। এ সময় মাদ্রাসা রোডের অন্তত ৮-১০টি বন্ধ থাকা দোকান ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অানতে শতাধিক রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পুলিশ কান্দিপাড়া এলাকার একদিকে অবস্থান নিয়েছে। মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা অপরদিকে দূরে অবস্থান নিয়ে রাস্তার কয়েক জায়গায় টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করছে। অন্যদিকে, মাঝামাঝি সড়কে অবস্থান নিয়ে আছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
বাংলাদেশ সময়: ২২৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৬/আপডেট ২৩২১ ঘণ্টা
এইচএ/