ফরিদপুর: রোগীর স্বজনদের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জের ধরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ফমেক) জরুরি বিভাগে তালা দিয়ে চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে দিয়েছেন হাসপাতালে শিক্ষানবিশ (ইন্টার্ন) চিকিৎসকেরা।
মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে চারটা থেকে জরুরি বিভাগে তালা লাগিয়ে দেন তারা।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে আসা চার রোগীর স্বজনদের হাতে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন নারীসহ হাসপাতালের দুই শিক্ষানবিশ চিকিৎসক ও একজন সেবিকা।
এ ঘটনার প্রতিবাদে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে তালা দিয়ে চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে দিয়েছেন তারা।
হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার আরিফ ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, বিকেলে ফরিদপুর সদরের ধুলদী এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় চার মাইক্রোবাসের চারজন আহত হন। তাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আনা হলে তাদের পুরুষ সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়।
‘এ সময় ওই রোগীদের মধ্যে একজন রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে গেলে স্বজনদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে চিকিৎসক ও সেবিকাদের ওপর হামলা চালানো হয়। ’
তিনি বলেন, এ সময় ওই ওয়ার্ডে কর্তব্যরত শিক্ষানবিশ চিকিৎসক সানজিদা ও চিকিৎসক আবুল হাসনাত এবং এক সেবিকাকে প্লাস্টিকের চেয়ার দিয়ে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন রোগীর স্বজনেরা। পরে রোগী নিয়ে পালিয়ে যায় তারা।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ফমেক হাসপাতালের অধ্যক্ষ আ স ম জাহাঙ্গীর চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, রোগীর স্বজনরা দুই চিকিৎসক ও এক সেবিকাকে নির্মমভাবে পিটিয়েছে। এ কারণে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা জরুরি বিভাগে তালা দিয়ে সেবা বন্ধ রেখেছেন।
‘আমরা জরুরি বিভাগ খোলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি,’ বলেন তিনি।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. গণপতি বিশ্বাস শুভ বলেন, জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। শিগগির বিষয়টির সমাধান হয়ে আসবে।
রাত সাড়ে ৭টার সময় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত হাসপাতালের জরুরি বিভাগ বন্ধ ছিল বলে জানিয়েছেন ওয়ার্ড মাস্টার আরিফ ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৬
আরকেবি/এমএ