ঢাকা: দেশের উন্নয়নে বাংলাদেশ আর কারো কাছে ভিক্ষা চাইতে যাবে না, বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে দুগ্ধ উৎপাদন ও কৃত্রিম প্রজনন খাতে গ্রহীতা পর্যায়ে ঋণ বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারো কাছে ভিক্ষা চাইতে যাবো না। আমরা নিজস্ব শ্রম ও মেধা দিয়ে এগিয়ে যাবো। মনে রাখতে হবে বাঙালি মুক্তিযুদ্ধ করে জয়লাভ করা জাতি।
তিনি বলেন, এদেশের মানুষের উন্নয়নে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। আমরা কৃষকদের সব রকম সুযোগ-সুবিধা দিয়েছি। একটা সময় ওয়ার্ল্ড ব্যাংক আমাদের বলেছিল- কৃষকদের ভর্তুকি দেওয়া যাবে না। কিন্তু আমরা বলেছি এই ভর্তুকি নিজস্ব অর্থায়নে দেবো এবং তা দিয়েছি। শুধু তাই নয় বর্গা চাষীদের বিনা জামানতে অল্প সুদে কৃষি ঋণ দিতে শুরু করি আমরাই।
দেশের কর্মসংস্থান নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, কর্মসংস্থান ব্যাংকের মাধ্যমে মানুষকে ঋণ দেওয়া হচ্ছে। বিশাল অংকের এসব ঋণ বেকার যুবক-ছেলে-মেয়েদের কাজে আসছে। তারা নিজের পায়ে দাঁড়াচ্ছে।
তিনি বলেন, জাতির পিতা সেই ১৯৭৩ সালে মিল্কভিটা প্রতিষ্ঠা করেন। গবাদি পশুর কৃত্রিম প্রজনন শুরু করা হয় সে সময়। এছাড়াও গবেষণার মাধ্যমে জাত উন্নয়নের কাজ শুরু হয়।
‘আমরা যদি কাজ করে যাই তবে দেশের উন্নয়ন করতে পারবো’ প্রত্যয় ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা আরও বলেন, তাই কাজ করে যেতে হবে। ইতোমধ্যে মাছের উৎপাদন বাড়িয়েছি, জয় করা বিশাল সমুদ্রসীমাকেও কাজে লাগাতে হবে। আমাদের লক্ষ্য ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করবো এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব মোহাম্মদ মাসুদুল হাসান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক, প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর আতিউর রহমান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৬/আপডেট ১৩১৬
আইএ