ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কারা কর্তৃপক্ষ-গণমাধ্যমের ঘনিষ্ঠ সংযোগ থাকা প্রয়োজন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৬
কারা কর্তৃপক্ষ-গণমাধ্যমের ঘনিষ্ঠ সংযোগ থাকা প্রয়োজন ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: প্রশাসন ও গণমাধ্যমের মিলি-ঝিল সম্পর্কই গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিকে বেগবান ও জোরদার করে, বিভিন্ন অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
 
তিনি বলেন, গণমাধ্যম ও কারা প্রশাসন কখনোই শত্রু নয়।

কারা কর্তৃপক্ষ ও গণমাধ্যমের ঘনিষ্ঠ সংযোগ কারা প্রশাসনকে আরো মানবিক থাকতে ও আইনানুগ করতে সাহায্য করে।
 
বুধবার (১৩ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় রাজধানীর কাকরাইলে প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) সেমিনার কক্ষে ‘ট্রেনিং ফর প্রিজন অফিসিয়াল অন মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট’ শীর্ষক সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।
 
কারা অধিদফতর ও পিআইবি’র যৌথ উদ্যোগে দু’দিনব্যাপী এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়। এতে আর্থিকভাবে সহায়তা করে বেসরকারি সংস্থা জিআইজেড।
 
তথ্যমন্ত্রী বলেন, কারা প্রশাসন ও গণমাধ্যমকে আস্থার জায়গায় নিয়ে কাজ করার জন্যই এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। কারাগার সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনা করতে এ প্রশিক্ষণটি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে। শুধু কারা প্রশাসকদের নয়, কারা আইন বিষয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া দরকার।
 
গণমাধ্যমের সঙ্গে কেন সম্পর্ক থাকবে এবং কি কি তথ্য আদান-প্রদান করা যাবে তা সম্পর্কে ভালো জ্ঞান পাওয়া যাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
 
তিনি বলেন, একটা সমাজ আইনের মশারি দিয়ে ঢাকা থাকে। ঠিক তেমনি কারাগারও কারা আইনের মশারিতে ঢাকা রয়েছে। তবে গণমাধ্যম তো দেখতে চাইবে, কারাগার কেমন চলছে। এ কারণেই কারা কর্তৃপক্ষকেও দেখাতে হবে কারা আইনের ওই মশারির ভেতরে কারাগার কিভাবে চলছে। এতে গণমাধ্যমও জানলো, কারাগারও ভালো চললো।
 
কারাগারের চিকিৎসা ব্যবস্থা, কয়েদি ধারণ ক্ষমতা, তাদের খাবার ব্যবস্থা, পরিবাবের সঙ্গে দেখা করার সুযোগসহ বিভিন্ন সুবিধার বিষয়ে গণমাধ্যমকে তুলে ধরলে কারাগার সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ধারণা পরিবর্তন হবে। এতে করে গণমাধ্যমও বুঝতে পারবে যে, কোন সংবাদটি প্রকাশ ও প্রচার করতে হবে।
 
তিনি বলেন, কারাগারে যারা কয়েদি হিসাবে থাকেন, তারা সবাই অপরাধী নয়। তাদের মটিভিশন ও দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করে সমাজের ভালো মানুষ হিসেবে তৈরি করাই কারাগার কর্তৃপক্ষের প্রধান কাজ। এজন্য প্রয়োজন উন্নয়নমূলক বিভিন্ন ট্রেনিং-সেমিনার।
 
কারা কর্তৃপক্ষ ও গণমাধ্যমের অবাধ তথ্যপ্রবাহ না থাকায় সমাজের সবার কাছে কারাগার সম্পর্কে কিছু ভ্রান্ত ধারণা রয়ে গেছে। এ ধারণা দূর করতে হলে গণ্যমাধ্যমের সঙ্গে কারা কর্তৃপক্ষের তথ্যের আদান-প্রদান বাড়াতে হবে।  
 
প্রতি তিন মাসে অন্তত একটি প্রেস কনফারেন্স করার পরামর্শও দেন তথ্যমন্ত্রী।
 
কারা অধিদফতরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন বলেন, কারাগারের ব্যবস্থাপনায় কাজ করতে হলে কারা প্রশাসকদের ব্যক্তিত্ব থাকতে হবে। নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে। কিভাবে কয়েদিদের দেখভাল করতে হবে, সে বিষয়ে জানা থাকতে হবে।
 
আর এজন্য প্রয়োজন বিভিন্ন প্রশিক্ষণ। আমাদের দেশের কারা তত্ত্বাবধায়কদের চৌকষ করে গড়ে তোলার জন্য এসব প্রশিক্ষণ জরুরি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।  

পিআইবি’র মহাপরিচালক মো. শাহ আলমগীরের সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণ সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এস এম মাহবুব আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গোলাম রহমান, জিআইজেড’র আইআরএসওপি প্রজেক্টের আউট অব লিড বিনয় কুমান ঝা, মিডিয়া অ্যান্ড লিগ্যাল অ্যাডভাইজার ক্যাথলিন লিনে। দেশের বিভিন্ন কারাগারের সিনিয়র জেল সুপাররাও সেমিনারে অংশ নেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৬
এসজেএ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।