বগুড়া: বগুড়ার শেরপুর হাসপাতালে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক ও কর্মকর্তারা।
এতে বহির্বিভাগের সব কার্যক্রম বন্ধ থাকায় চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রায় অচল হয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করেন আন্দোলনকারীরা।
চিকিৎসা নিতে আসা আঞ্জুয়ারা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, সকাল থেকে হাসপাতালে এসে বসে আছি। কিন্তু বহির্বিভাগে এখন পর্যন্ত কোনো ডাক্তারের দেখা পাইনি। শুনছি ডাক্তাররা আসবেন না। এখন কী করব তা বুঝতে পারছি না?
একই কথা জানান চিকিৎসা নিতে আসা ফারজানা বেগম, কফিল উদ্দিনসহ আরও অনেকে।
উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোখলেছুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আমরা বাধ্য হয়ে কর্মবিরতি শুরু করেছি। হামলাকারীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তারা হুমকি-ধামকি দিচ্ছে, নিরাপত্তার অভাবে আমরা হাসপাতালে যেতে পারছি না।
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে আগামী শনিবার থেকে জেলার সব সরকারি হাসপাতালে একই কর্মসূচি পালন করা হবে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে বিএমএ’র নেতাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
বুধবার (২৭ জানুয়ারি) রোগীদের খাবার সরবরাহের ঠিকাদারি কাজ না পেয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নূরে আলম সানীর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী হাসপাতালে হামলা চালায়। এ সময় হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মামুনুর রশীদ ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামকে মারপিট করে আহত করা হয়।
শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, ঘটনার পর থেকে হাসপাতাল এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সেখানে নিরাপত্তার কোনো অভাব নেই।
অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৬
এমবিএইচ/জেডএফ/টিআই