ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সোমবার (১১ জানুয়ারি) রাতে দফায় দফায় মাদ্রাসা ছাত্র ও ব্যবসায়ী-পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় মাসুদুর রহমান (২০) নামে এক ছাত্র নিহত হওয়ার পর মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) দিনভর নারকীয় তাণ্ডব চালায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা।
এ ঘটনার পরদিন বুধবার (১৩ জানুয়ারি) স্বাভাবিক ছন্দ ফিরে পেয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর।
তবে ফের যেন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য শহরের প্রতিটি মোড়ে মোড়ে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি ও ৠাব সদস্যরা টহল দিচ্ছে।
সকাল থেকেই শহরের প্রধান সড়কে যানবাহন চলতে শুরু করে। স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত, শপিং মলসহ দোকানপাট যথারীতি খুলেছে। কিছুটা বিলম্বে হলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপর দিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে মাদ্রাসার শীর্ষ আলেম-উলামাদের সঙ্গে চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মাহাবুবুর রহমানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল দুই ঘণ্টা বৈঠক করেন। বৈঠকে সদর মডেল থানার সহকরী পুলিশ সুপার (এএসপি) তাপস রঞ্জন ঘোষ ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাসকে প্রত্যাহারের দাবি মেনে নিলে জামিয়া ইউনুসিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা সাজিদুর রহমান হরতাল প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
এদিকে বুধবার দুপুরে স্থানীয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মাদ্রাসা ছাত্রদের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত রেল স্টেশন, সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সংগীতাঙ্গন, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরের সাহিত্য একাডেমি, তিতাস সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদ, শিশু নাট্যম, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্মৃতি পাঠাগার, ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্কুল চত্বর পরিদর্শন করেন।
এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার এম এ মাসুদ, ১২ বডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নজরুল ইসলাম, র্যাব-১৪ এর অধিনায়কসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৬
আরএ