ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

৫ বছর আগের সব মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৬
৫ বছর আগের সব মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

লক্ষ্মীপুর: প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, আদালতে অনেক পুরাতন মামলা রয়েছে, যা নিষ্পত্তি হয়নি। এতে আমি মর্মাহত।

৫ বছর আগের (২০১১ সালের আগের) সব মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে। ৩০ লাখ মামলার চাপ সহ্য করতে পারব না।

বুধবার (১৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে প্রথম ত্রৈমাসিক জুডিশিয়াল কনফারেন্স ২০১৬-তে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় তিনি বিচারক ও আইনজীবীদের বিচারকাজ আরও তরান্বিত করতে আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, আইন সোজা, আইনের কোনো বাঁকা রাস্তা নেই। পুলিশের বেশ কিছু ত্রুটি থাকে তদন্তে। অভিযোগ আছে তারা গড়িমসি করেন। পুলিশ ডাকাতি মামলা নেয় না। ডাকাতি মামলা নিলে পুলিশের নাকি রেকর্ড খারাপ হয়ে যাবে। অভিযোগ আসলে হুবহু নেওয়া হয় না। পুলিশ তাদের মতো করে অভিযোগ লিখে নেয়। এতে প্রকৃত ঘটনা পরিবর্তন হয়ে যায়।

তিনি বলেন, আদালত বর্জন কোনোমতে গ্রহণযোগ্য নয়। কথায়-কথায় আদালত বর্জন করা যাবে না। আইনজীবী ও বিচারকদের বিভেদ ভুলতে হবে। কোনোভাবেই বিচারপ্রার্থীরা যেন হয়বানি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, সংবাদপত্র দেশের একটি স্ট্রং পিলার। যখনই অন্যায় হয়, অনিয়ম হয় তা মিডিয়া তুলে ধরে। মিডিয়া অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে কাজ করছে।

প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচার বিভাগ সুসংহত হলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা হবে। বিচার বিভাগ যদি সুসংহত হয়, তাহলে এ দেশে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করা যাবে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে সবাইকে ইগোইজম ছাড়তে হবে।

লক্ষ্মীপুর আইনজীবী সমিতির সম্প্রসারিত নতুন ভবন নির্মাণকে কেন্দ্র করে আইনজীবীদের আদালত বর্জনের বিষয়টি অনভিপ্রেত উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, এটা আইনজীবী ও বিচারকদের জন্য কাম্য নয়। এতে বিচারপ্রার্থীরা ভোগান্তির শিকার হন। বাধাগ্রস্ত হয় বিচার বিভাগের কার্যক্রম।

এ সময় তিনি সরকারি জমিতে নির্মাণাধীন সমিতির নতুন ভবণ নির্মাণের কাজ বন্ধ ও তা অপসারণ করতে আইনজীবীদের প্রতি আহ্বান জানান। এছাড়া ‍অন্য কোনো স্থানে আইনজীবীদের ভবন নির্মাণ করে দেওয়ার আশ্বাস দেন।

জেলা ও দায়রা জজ মো. আখতার হোসেনের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আবদুল বাসেত মজুমদার, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জিল্লুর  রহমান চৌধুরী, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জি এইচ এম আব্দুর নুর ও সাধারণ সম্পাদক রফিক উল্লাহ।

এরআগে দুপুর ১টায় জেলা ও দায়রা জজ ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত পরিদর্শন করেন প্রধান বিচারপতি।

বাংলাদেশ সময়: ২২৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৬
এসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।