ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘হোসেনী দালানে হামলা ও পুলিশ হত্যায় জড়িত দুই জেএমবি কমান্ডার’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৬
‘হোসেনী দালানে হামলা ও পুলিশ হত্যায় জড়িত দুই জেএমবি কমান্ডার’ মনিরুল ইসলাম

ঢাকা: রাজধানীতে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সঙ্গে `বন্ধুকযুদ্ধে’ নিহত আব্দুল্লাহ ওরফে নোমান ও কামাল ওরফে হিরণ জেএমবির ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের সামরিক কমান্ডার ছিলেন।
 
নিহত এই দুই জেএমবি কমান্ডার পুরান ঢাকার হোসেনী দালানে হামলা, গাবতলী ও আশুলিয়ায় পুলিশের ওপর হামলা এবং হত্যার ঘটনায় জড়িত বলে জানিয়েছেন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার মনিরুল ইসলাম।



বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

এর আগে বুধবার দিবাগত রাতে রাজধানীর হাজারীবাগ থানার বারইখালী পশ্চিম সুলতানগঞ্জ বেড়ী  বাঁধ এলাকায় গোয়েন্দা পুলিশের সঙ্গে ‘বন্ধুকযুদ্ধে’ জেএমবির কমান্ডার আব্দুল্লাহ ওরফে নোমান ও কামাল ওরফে হিরণ নিহত হন। এ সময় আরও তিন জেএমবি সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- আরমান, জাহিদ হাসান রানা ওরফে মুসহাব ও নুর মোহাম্মদ ওরফে ল্যাংড়া মাস্টার।

মনিরুল ইসলাম বলেন, মিরপুর শাহ-আলী জঙ্গি আস্তানা থেকে গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারি, ওই বাসায় গ্রেনেড তৈরিতে সহযোগিতা করতো কামাল ওরফে হিরণ, শাকিল ওরফে মোস্তাক, আব্দুল্লাহ ওরফে নোমান, রিপন, ফারদিন ওরফে সজল। এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশ।

গাবতলীতে এএসআই ইব্রাহিম হত্যার ঘটনায় সজীব ও আশুলিয়ায় পুলিশ সদস্য হত্যার ঘটনায় তারেক নামে দু’জেএমবি সদস্য পলাতক রয়েছে। হোসেনী দালানে হামলার ঘটনায় আরও এক জেএমবি সদস্য পলাতক রয়েছে বলেও জানান এই যুগ্ম-কমিশনার।

সম্প্রতি মিরপুর শাহ-আলী জঙ্গি আস্তানা থেকে গ্রেনেড ও বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধাররের ঘটনায় শাকিলের সঙ্গে আব্দুল্লাহ আল নোমান ও হিরণের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এরপর শাকিল ও আব্দুল্লাহ হিরণকে হত্যার পরিকল্পনা করে বলে জানান মনিরুল ইসলাম।

রাজধানীতে জেএমবির কত সদস্য সক্রিয় রয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজধানীতে জেএমবির সক্রিয় সদস্যদের সংখ্যা বেশি নয়।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে মনিরুল বলেন, যারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায় না। দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়, তারাই মূলত নতুন করে জেএমবিদের অর্থায়ন করছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (দক্ষিণের) উপ-কমিশনার মাশরুকুর রহমান খালিদ, মিডিয়া সেন্টারের উপ-কমিশনার মারুফ হোসেন সরদার, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার সানোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার এস এম জাহাঙ্গীর আলম সরকার ও মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার আহমেদুল ইসলাম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৬/ আপডেট: ১৫৫৯ ঘণ্টা
এনএ/টিআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।