নারায়ণগঞ্জ: উৎসবমুখর পরিবেশে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে শুরু হয়েছে মাসব্যাপী লোককারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব।
বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনে এ মেলার উদ্বোধন করেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সিমিন হোসেন রিমি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিমিন হোসেন রিমি বলেন, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের জাগরণই পারে অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়তে। তাই দেশীয় সংস্কৃতি বিকাশের প্রতি জোর দিতে হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁও) আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা । ফাউন্ডেশনের পরিচালক কবি রবীন্দ্র গোপের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক আনিছুর রহমান মিঞা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম, সোনারগাঁও পৌরসভা চেয়ারম্যান সাদেকুর রহমান ভূইয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সামছুল ইসলাম ভূইয়া, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম, উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আলী হোসেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু নাসের ভূইয়া, ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা শাহ আলম রূপম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার সোহেল রানা, ডেপুটি কমান্ডার ওসমান গনি প্রমুখ।
বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন সূত্রে জানা গেছে, মেলায় ১৭২টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ৪৮ জন কারুশিল্পী মেলায় অংশ নিচ্ছেন। তাদের জন্য ২৪টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে ঝিনাইদহ ও মাগুরার শোলা শিল্প, রাজশাহীর শখের হাড়ি, চট্টগ্রামের পাখা, রংপুরের শতরঞ্জি, সোনারগাঁয়ের হাতি ঘোড়া পুতুল ও কাঠের কারুশিল্প, নকশিকাঁথা, হাতপাখা, মুন্সিগঞ্জের শীতল পাটি, মানিকগঞ্জের তামা-কাঁসা ও পিতলের কারুশিল্প, রাঙামাটি ও বান্দরবান জেলার ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর কারুপণ্য, কিশোরগঞ্জের টেরা কোটা শিল্প, সোনারগাঁয়ের পাটের কারুশিল্প, নাটোরের শোলার মুখোশ শিল্প, মুন্সিগঞ্জের পট চিত্র, ঢাকার কাগজের হস্তশিল্প ইত্যাদি এ মেলায় স্থান পাচ্ছে।
এছাড়াও লোক কারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসবে বাউলগান, পালাগান, কবিগান, ভাওয়াইয়া ও ভাটিয়ালী গান, জারি-সারি ও হাছন রাজার গান, লালন সংগীত, মাইজভান্ডারী গান, মুর্শিদী গান, আলকাপ গান, গাঁয়ে হলুদের গান, বান্দরবান, বিরিশিরি, কমলগঞ্জের-মণিপুরী ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শরিয়তী-মারফতি গান, ছড়া পাঠের আসর, পুঁথি পাঠ, গ্রামীণ খেলা, লাঠি খেলা, দোক খেলা, ঘুড়ি ওড়ানো, লোকজ জীবন প্রদর্শনী, লোকজ গল্প বলা, পিঠা প্রদর্শনী ইত্যাদি থাকবে।
মেলা প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৬
আরএইচএস