ঢাকা: দেশের ভোটার তালিকা হালনাগাদে রোহিঙ্গা অন্তর্ভুক্তি ঠেকাতে পারছে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ কক্সবাজারে বিশেষ কমিটি করেও কোনো সুফল আসছে না।
সূত্রগুলো জানিয়েছে, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে সংস্থাটি। কেননা, আগামী ৩১ জানুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন। এক্ষেত্রে কোনো রোহিঙ্গা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হলে সহজেই চিহ্নিত করে বাদ দিতে পারবে ইসি।
সম্প্রতি কক্সবাজার জেলা প্রশাসককে কক্সবাজার জেলার নয়াপাড়া ও কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পের রেজিস্টার্ড রোহিঙ্গা শরণার্থীদের তালিকার সফট কপি প্রেরণ করার জন্য নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। সে পরিপ্রেক্ষিতেই একটি তালিকা ইসিতে পাঠিয়েছেন ওই জেলা প্রশাসক।
এদিকে পৃথক চারটি চিঠিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং হল্যান্ডের হেড অফ মিশনকেও রোহিঙ্গাদের তথ্য দিতে বলেছে ইসি। তাদের কাছে পাঠানো চিঠিতে মায়ানমার থেকে আগত রোহিঙ্গাদের তথ্য নির্ধারিত ছক মোতাবেক, সম্ভব না হলে যেভাবে সংগৃহিত আছে সেভাবেই প্রেরণের জন্য বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে ইসি সচিব সিরাজুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, মন্ত্রণালয়গুলো এবং হল্যান্ডের মিশন কোনো তথ্য দেয়নি। তবে কক্সবাজার থেকে একটি তালিকা ইতিমধ্যে এসেছে। এতে রোহিঙ্গাদের কেউ ভোটার হতে চাইলে চিহ্নিত করতে সুবিধা হবে। তবে রোহিঙ্গা সমস্যা একটি বড় সমস্যা। এটি রোধ করতে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।
ইসির সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রেজিস্ট্রার্ড রোহিঙ্গাদের তথ্য নেওয়ার পর, তাদের বংশধররা ভোটার হওয়ার অপচেষ্টা চালালে ধরা পড়ে যাবেন। কেননা, কক্সবাজারসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের ভোটার হতে হলে একটি বিশেষ ফরম পূরণ করতে হয়। যেখানে একজন ব্যক্তিকে নিজের বাবা-মা ছাড়াও চাচা-ফফুসহ অন্য আত্মীয়দের তথ্যও নেয়া হয়। আর এজন্যই রেজিস্ট্রার্ড রোহিঙ্গাদের তথ্য নেওয়া হচ্ছে।
প্রতিবার হালনাগাদের সময় হাজার হাজার রোহিঙ্গা চিহ্নিত করে নির্বাচন কমিশন, যা যতসামান্যই। যাদের চিহ্নিত করা যায় না তারা এদেশের ভোটার হয়। এরপর বাংলাদেশি পাসপোর্টে বিদেশে গিয়ে ক্রাইমে জড়িয়ে পড়ে। এতে দেশের সুনাম নষ্ট হয়।
** ইভিএম: গোড়াতেই গলদ ছিলো
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৬
ইইউডি/বিএস