নারায়ণগঞ্জ থেকে: নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন বাবুরাইলের একটি বাড়িতে শিশুসহ পাঁচজনকে হত্যার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইজনকে আটক করা হয়েছে। এদিকে গুরুত্বপূর্ণ আলামত সংগ্রহ করেছে পুলিশের ক্রিমিনাল ইনভেসটিগেশন ডিপার্টমেন্টের (সিআইডি) একটি ক্রাইম সিন টিম।
শনিবার (১৬ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে তারা (ক্রাইম সিন টিম) ঘটনাস্থলে আসে। এ দলে নেতৃত্ব দেন সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আবদুস সালাম। তারা আলামত সংগ্রহের কাজ করেন।
এদিকে ওই দু’জনকে রাত আনুমানিক ১১টার দিকে আটক করা হয়। এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন জানান, দুইজনকে আটক করা হয়েছে। তারা পরিবারের সদস্য।
তিনি জানান, ঘটনা প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই মূলত ওই বাসার কাছ থেকে তাদের আটক করেছে ডিবি পুলিশ। তার মধ্যে একজন নিহত তাসলিমার খালাতো ভাই দেলোয়ার।
তবে বাকি একজনের পরিচয় প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এবং তথ্য প্রাপ্তি ও তদন্তের স্বার্থে নিহত তাসলিমার মা মোরশেদাকেও ডিবি পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে।
এছাড়া ভোর রাত ৪টার দিকে পাঁচ খুনের ঘটনায় নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা শহরের ভিক্টোরিয়া ১০০শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়।
শনিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন বাবুরাইল এলাকার একটি বাসার নিচ তলা থেকে পাঁচজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতরা হলেন, তাসলিমা (৩৫), তার ছেলে শান্ত (১০), মেয়ে সুমাইয়া (০৫), তাসলিমার ভাই মোরশেদুল (২২) ও জা লামিয়া (২৫)। ওই বাসার ঠিকানা- ২নং বাবুরাইল, বাসা নং ১৩১/১১; যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ইসমাইল হোসেনের বাড়ি। বাড়িটি স্থানীয় খানকাহ শরীফের পাশে। গতবছর (২০১৫ সাল) নভেম্বরে এ বাড়িতে ভাড়া আসেন তারা।
বাংলাদেশ সময়: ০০২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৬/আপডেট ০৫০০
এসজেএ/আইএ
** না’গঞ্জে একই পরিবারের ৫ জনকে গলা কেটে হত্যা
** কয়েকজন মিলে এসে হত্যা করে যান
** না’গঞ্জে র্যাব মহাপরিচালকের পরিদর্শন সকালে
** ‘খুনিরা পেশাদার নন, ঘটনা ডাকাতিও নয়’
** না’গঞ্জের ওই বাড়িতে সিআইডি টিম, আটক ২