ঢাকা: খাদ্য নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দ এবং সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার দাবি জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। একইসঙ্গে জাতীয় সামাজিক সুরক্ষা কৌশলের সময় কমানোরও দাবি জানান তারা।
রোববার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ আয়োজিত সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচী ও জাতীয় সামাজিক সুরক্ষা কৌশল: খাদ্য অধিকার প্রেক্ষিত’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ দাবি জানান বক্তারা।
পিকেএসএফ ও খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ'র চেয়ারম্যান ড. কাজী খলিকুজ্জামান আহমেদ বলেন, নব্য উদারতাবাদী উন্নয়ন নয়, উন্নয়ন হতে হবে জনকেন্দ্রিক। মানবকেন্দ্রিক উন্নয়ন হলে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় দরিদ্র মানুষের সংখ্যা কমে আসবে এবং উন্নয়ন টেকসই হবে।
এসময় তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলার কথাও উল্লেখ করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অর্থনীতিবিদ ড. এম এম আকাশ বলেন, সামাজিক ও খাদ্য নিরাপত্তা দ্রুত নিশ্চিত করতে হলে বর্তমানে গড়ে এক শতাংশ হারে দারিদ্র্য হ্রাস পাচ্ছে, তাতে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পৌঁছান যাবে না। এসময়ের মধ্যে লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে বাজেট বরাদ্দ বাড়াতে হবে।
কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যেসব প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা রয়েছে সেগুলো সমাধানেরও ব্যবস্থা করতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
কাজী খলিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভা সঞ্চালনা করেন খাদ্য ইনসিডিন বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক রতন সরকার।
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে খাদ্য অধিকার বাংলাদেশের সম্পাদক মহসীন আলী। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষক ড. রুশীদান ইসলাম রহমান।
সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি খাতে চলমান অর্থবছরে ৩৭৫.৪৬ বিলিয়ন (৩৭ হাজার ৫শ’ ৪৬ কোটি) টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে যা, মোট বাজেটের ১১.৪ শতাংশ এবং জিডিপির ২.১৯ শতাংশ।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তান ও মালদ্বীপ ছাড়া অন্য দেশগুলোতে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে এর চেয়ে বেশি বরাদ্দ রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৬
এইচআর/জেডএস