নারায়ণগঞ্জ: পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান বলেছেন, দীর্ঘ চাকরির অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, শিশুরা কখনো টার্গেট হতে পারে না। চিনে ফেলবে বা সাক্ষ্য দেবে, এজন্যই দুই শিশুকে হত্যা করা হয়েছে।
রোববার (১৭ জানুয়ারি) নারায়ণগঞ্জ শহরের ২নং বাবুরাইলে ৫ খুনের ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ডিআইজি মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান জানান, ওই ফ্ল্যাট থেকে খাবার, হালুয়া-রুটিসহ অন্যান্য সামগ্রী জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া খুনের সম্ভাব্য সব কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিজ্ঞানের যুগে সবগুলো প্রযুক্তিই ব্যবহার করা হচ্ছে। সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়েই তদন্ত করা হচ্ছে। তবে মামলার ক্ষতি হবে এমন কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না।
এর আগে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহম্মেদ সাংবাদিকদের জানান, এটি একটি নৃশংস হত্যাকাণ্ড। জেলা পুলিশ ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার পাশাপাশি র্যাবও ছায়া তদন্ত শুরু করেছে। সবগুলো কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আশা করছি, দ্রুততম সময়ের মধ্যে রহস্য উদঘাটন করে জনমনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে পারবো।
দু’জনকে আটকের বিষয়ে তিনি বলেন, তাদেরকে আটক নয়, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেওয়া হয়েছে। খুনিরা পেশাদার কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খুনিরা পেশাদার নাকি অপেশাদার সেটা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। পারিবারিক বিরোধ সম্ভাব্য একটি কারণ হতে পারে।
শনিবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে নারায়ণগঞ্জ শহরের ২নং বাবুরাইল খানকা মোড় এলাকার একটি ফ্ল্যাট বাড়িতে একই পরিবারের পাঁচজনকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহতরা হলেন তাসলিমা (৩৫), তার ছেলে শান্ত (১০), মেয়ে সুমাইয়া (৫), তাসলিমার ছোট ভাই মোরশেদুল (২২) ও তাসলিমার জা লামিয়া (২৫)।
নিহতদের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চরভেলাবাড়ি। তারা শহরের বাবুরাইল ২নং এলাকার খানকামোড় এলাকার আমেরিকান প্রবাসী ইসমাইলের বাসায় ভাড়া থাকতেন।
এ ঘটনায় দু’ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করেছে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৬
এএসআর
** ‘সম্ভাব্য খুনিদের লিংক ধরার চেষ্টা চলছে’