নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের দেওভোগ এলাকায় একই পরিবারে নিহত পাঁচজনের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। তাদের কারোরই গলাকাটা হয়নি, বরং মাথায় আঘাতের কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
রোববার (১৭ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটায় পাঁচজনের ময়না তদন্ত শেষে এ তথ্য জানিয়েছেন ওই ঘটনার ময়না তদন্ত কমিটির প্রধান নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল সার্জন ডা.আসাদুজ্জামান।
ডা. আসাদুজ্জামান বলেন, নিহতদের কারো গলাকাটা হয়নি। তবে তাদের গলায় ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন আছে। এছাড়াও তাদের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে মাথায় আঘাতের ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষণে তাদের মৃত্যু হয়েছে। তাদের শরীরে হাতের ছাপ পাওয়া গেছে।
তিনি আরো বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, আজ থেকে একদিন আগে তাদের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু প্রাথমিক অবস্থায় কোনো ধরনের চেতনানাশক ওষুধ জাতীয় কিছু পাওয়া যায়নি।
শনিবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে নারায়ণগঞ্জ শহরের ২নং বাবুরাইল খানকা মোড় এলাকার একটি বাসা থেকে একই পরিবারের পাঁচজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতরা হলেন তাসলিমা বেগম (৪০), তার ছেলে শান্ত (১০), মেয়ে সুমাইয়া (৫), ভাই মোরশেদুল (২৫) ও তাসলিমার জা লামিয়া (২৫)।
পরে নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা.আসাদুজ্জামানকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট ময়না তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির অন্য দু’জন হলেন- ডা. তোফাজ্জাল হোসেন ও ডা. মফিজ উদ্দিন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৬
আরএইচএস/এএসআর