ঢাকা: রাষ্ট্রায়াত্ত বেসিক ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় করা মামলায় ব্যাংকটির অপসারিত দুই উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) ও এক উপ মহাব্যবস্থাপককে (ডিজিএম) রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
জিজ্ঞাসাবাদের প্রথম দিনে তদন্তে অগ্রগতিমূলক তথ্য পাওয়া গেছে বলে তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
রোববার (১৭ জানুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে তাদের প্রথম দিনের মতো জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
বেলা ১১টার দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বেসিক ব্যাংকের সাবেক দুই ডিএমডি ফজলুস সোবহান ও মো. সেলিম এবং ব্যাংকটির গুলশান শাখার সাবেক শাখাপ্রধান ও ডিজিএম শিপার আহমেদকে দুদক কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়।
সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদকের উপ পরিচালক ঋত্বিক সাহা ও মো. ইব্রাহীমসহ মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা।
প্রথম দিনের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সন্ধ্যায় তাদের রাজধানীর রমনা থানায় পাঠানো হয়।
সেখান থেকে সোমবার ফের দুদকে এনে তাদের দ্বিতীয় দিনের মতো জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে সূত্রটি জানিয়েছে।
দুদকের তদন্ত দলটির একজন কর্মকর্তা জানান, প্রথম পর্যায়ে তাদের তিনদিন রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। পরে আরও তিন দিন রিমান্ডে আনা হবে।
গত সোমবার ঢাকার মহানগর হাকিম তসরুজ্জামানের আদালত এই তিনজনের প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছয় দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে ৭ জানুয়ারি তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। পরে ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় করা দুই মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়।
বেসিক ব্যাংকের সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধান শেষে গত বছরের ২১,২২ ও ২৩ সেপ্টেম্বর ৫৬টি মামলা করে দুদক।
গুলশান, পল্টন, মতিঝিল থানায় করা এসব মামলায় মোট দুই হাজার নয় কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। মামলার ১২০ আসামির মধ্যে বেসিক ব্যাংকের কর্মকর্তা ২৭ জন।
গ্রেফতার হওয়া ফজলুস সোবহান ৪৭টি, মো. সেলিম আটটি এবং শিপার আহমেদ ২১টি মামলার আসামি।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৬
এডিএ/এমএ