ঢাকা: অবশেষে মুক্তিযোদ্ধা চাকরিজীবিদের অবসরের বয়সসীমা বাড়ানোর প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় উঠছে সোমবার।
প্রধানমস্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে।
অবসরের বয়সসীমা কত বাড়বে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, প্রস্তাবটি মন্ত্রিসভার বৈঠকে উঠানো হবে। হাইকোর্ট যেভাবে চেয়েছে তা বিবেচনায় রেখে সিদ্ধান্ত নেবে মন্ত্রিসভা।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মুক্তিযোদ্ধাদের বয়স বাড়ানোর হলে সাধারণ কর্মচারীদের বয়স বাড়ানোর বিষয়টিও বিবেচনা আসতে পারে।
এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, মূলত মুক্তিযোদ্ধাদের বয়স নিয়ে আপিল বিভাগের পর্যবেক্ষণ ও নির্দেশনা মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হচ্ছে। মন্ত্রিসভায় আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হবে।
মন্ত্রিসভায় পাঠানো সারসংক্ষেপে মুক্তিযোদ্ধা গণকর্মচারীদের অবসরের বয়স বাড়ানোর ক্ষেত্রে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় তিনটি বিষয় বিবেচনায় নেওয়ার প্রস্তাব দেয়।
মন্ত্রিসভায় মতামত তুলে ধরে বলা হয়েছে, প্রথমত যেসব মুক্তিযোদ্ধা কর্মচারী অবসরে গেছেন তাদের সুবিধা কীভাবে নিশ্চিত করা যায়। দ্বিতীয়ত যারা অবসর পরবর্তী ছুটিতে (পিআরএল) রয়েছেন তারা পাবেন কিনা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের বয়স বাড়ানো হলে কত বছর বাড়ানো সঙ্গত হবে।
সম্প্রতি মুক্তিযোদ্ধা গণকর্মচারীদের অবসরের বয়স বাড়ানোর বিষয়ে আপিল বিভাগের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে অবসরের বয়সসীমা বাড়ানোর প্রসঙ্গটি আলোচনা আসে।
গত বছরের ১৬ নভেম্বর সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়সসীমা হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী ৫৭ থেকে ৬৫ বছরে উন্নীত করার প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় তুলতে আদেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
এর আগে ২০১২ সালের ১৫ জানুয়ারি মুক্তিযোদ্ধা কর্মচারীদের অবসরের বয়সসীমা ৬৫ বছর করতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সুপারিশ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪৪ ঘণ্টা, জানুয়রি ১৮, ২০১৬
এসএমএ/এসএইচ